চরিত্র মানুষের অমূল্য সম্পদ
রাজমুকুট সম্মানের প্রতীক। চরিত্র মানব জীবনের জন্য মুকুটস্বরূপ। চরিত্র মানুষের মহৎ গুণ। চরিত্রহীন ব্যক্তি পশুর সমান। মানুষের সকল প্রকার অহংকারের মধ্যে চরিত্র প্রধান। সমাজ চরিত্রহীন ব্যক্তিদের ঘৃণা করে। তারা সমাজে সম্মান পায় না। পদে পদে অসম্মানিত, নির্যাতিত হয় আর চরিত্রবান ব্যক্তি সমাজে রাজ সম্মান ভোগ করেন। মানুষ তাদের শ্রদ্ধা ও ভক্তি এবং সম্মান করে। চরিত্রবান ব্যক্তিরাই সমাজে আদর্শ ব্যক্তি। মানুষ তাদের সঙ্গ লাভ করে ধন্য হয়। চরিত্রবান ব্যক্তিরাই জীবনে উন্নতি লাভ করতে পারে। সমাজ ও দেশ চরিত্রবান ব্যক্তিদের দিয়ে উপকৃত হয়।
অথবা
চরিত্রের গুণেই মানুষ মর্যাদাবান হয়ে ওঠে।
চরিত্রহীন ব্যক্তিকে সবাই ঘৃণা করে। চরিত্র মানবজীবনের মুকুটস্বরূপ। মানুষের সামগ্রিক
আচরণের সমষ্টিই তার চতিত্র। একজন মানুষ কতটা ভালো বা কতটা মন্দ তা শনাক্ত করা হয় তার
সামগ্রিক চরিত্র দিয়েই। স্বকীয় চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের গুণে মানুষ মর্যাদা লাভ করে,
সমাদৃত হয়। চরিত্র ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য। নারীদের ক্ষেত্রে অলংকার যেমন তার
রূপের মাধুর্যকে বাড়িয়ে দেয়, তেমনি ব্যক্তির আচার-আচরণ, কথাবার্তা, রুচি, জ্ঞান ও বুদ্ধি,
সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ইত্যাদি তার চরিত্রের অমূল্য সম্পদ। সুন্দর ও শোভন চরিত্রের মানুষকে
সবাই শ্রদ্ধা করে, ভালোবাসে, মর্যাদা দেয়। অপরদিকে চরিত্রহীন ব্যক্তিকে কেউ বিশ্বাস
করে না, মর্যাদাও দেয় না। লক্ষ টাকার সম্পদ নষ্ট হলেও তা আবার ফিরে পাওয়া সম্ভব, কিন্তু
চরিত্র একবার হারালে তা কোটি টাকার বিনিময়েও ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য চরিত্রকে
অমূল্য সম্পদের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
পার্থিব ধনসম্পদের চেয়ে চরিত্রের মূল্য অনেক
বেশি। মানবজীবনে চরিত্রের মতো বড় অলংকার আর কিছু নেই। চরিত্রকে তাই মাথার মুকুটের সঙ্গে
তুলনা করা হয়।