পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি
উন্নতির চরম শিখরে উঠতে হলে পরিশ্রম করা আবশ্যক। এ জগতে অর্থ আর বিদ্যা যেটাই বল না কেন তা অর্জন করতে পরিশ্রমের একান্ত প্রয়োজন। পরিশ্রম ব্যতীত এ পৃথীবিতে কেউ উন্নতি করতে পারে না। মানুষের জীবনে কুসুমশয্যা নয়। প্রত্যেকটি মানুষকে দায়িত্ব ও কর্ম নিয়ে বাঁচতে হয়। আর এ বাঁচার পেছনে রয়েছে শুধুই পরিশ্রম। ক্ষুদ্র মৌমাছিও পরিশ্রম করে মধু সংগ্রহ করে। আমাদের জীবন সংক্ষিপ্ত ও ক্ষণস্থায়ী। তাই আমাদের জীবনকে সুখী ও সুন্দর করতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। যে ছাত্র পরিশ্রম করে লেখাপড়া করে, সে ভবিষ্যতে সুখী ও সমৃদ্ধশালী জীবন গড়ে তুলতে পারে। তাই বলা যায়- ‘পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি’
অথবা
কোনোকিছু অর্জন করতে হলে নিরলস পরিশ্রম ও
একনিষ্ঠ সধনার কোনো বিকল্প নেই। পরিশ্রম করেই বিরূপ ভাগ্যকে করায়ত্ত করতে হয়। ভাগ্যে
বিশ্বাসী লোক অলস এবং শ্রমবিমুখ হয়। “ভাগ্যে থাকলে পাবো” – এই আশায় কেউ বসে থাকলে জীবনে
তার কোনো উন্নতি হবে না। আসলে সৌভাগ্য নিয়ে কেউ পৃথিবীতে আসে না। কঠিন, কঠোর পরিশ্রম
করেই বিরূপ ভাগ্যকে জয় করতে হয়। লক্ষ্য স্থির করে, সঠিক পদ্ধতিতে পরিশ্রম করলে সৌভাগ্য
আপনা-আপনি ধরা দেয়। পৃথিবীতে এ পর্যন্ত যারা সফল হয়েছেন, তাদের সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে
পরিশ্রমের জাদু। কৃষক ভাগ্যের ওপর বসে থেকে ফসল ফলায় না, তাকে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে,
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল উৎপন্ন করতে হয়। তেমনি পরিশ্রম ছাড়া দুনিয়াতে ভালো কিছু অর্জিত
হয় না। আধুনিক বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালে কিংবা তাদের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে
দেখা যায়, তারা নিরলস পরিশ্রম করেই উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছেছে। একমাত্র শ্রমশক্তিই
তাদেরকে কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের স্বর্ণদারে পৌঁছে দিয়েছে। অন্যদিকে শ্রমবিমুখ, অলস কত যুবক
বেকার হয়ে অভিশপ্ত জীবন কাটাচ্ছে।
জীবনে সফলতা অর্জনের জন্য পরিশ্রম অপরিহার্য।
যে জাতি যত পরিশ্রমী, সে জাতি তত উন্নত। তাই অযথা ভাগ্যের পেছনে না দৌড়ে, লক্ষ্য স্থির
করে সঠিক পদ্ধতিতে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করা উচিত।