মাদকাসক্তির কুফল জানিয়ে ছোট ভাইকে একখানা
পত্র লেখ।অথবা, তোমার মাদকাসক্ত ছোট ভাইকে মাদকদ্রব্য
ত্যাগ করার উপদেশ দিয়ে একটি পত্র লেখ।
কচুয়া, চাঁদপুর
২১ মার্চ ২০২২
প্রিয়
‘ম’
আমার
স্নেহাশিস নিও। আশা করি ভালো আছো। তুমি ভালো থাকো এবং লেখাপড়া করে মানুষের মতো মানুষ
হও এটাই আমাদের কামনা। গত পরশু মা’র চিঠি পেলাম। চিঠিতে তোমার সম্পর্কে মা কিছু আপত্তিকর
তথ্য দিয়েছেন। তবে একটি খবর আমাকে খুবই ভাবিয়ে তুলেছে যা তোমাকে না বললেই নয়। মা লিখেছেন,
তুমি নাকি আজকাল খারাপ ছেলেদের সাথে মেলামেশা করছো, এমনকি সিগারেটও ধরেছ। তোমার সম্পর্কে
এরূপ সংবাদ আমার কানে আসবে তা আমি কোনও দিন কল্পনা করিও না। অবশ্য কথাটা আমি এখনো পুরোপুরি
বিশ্বাস করতে পারছি না। ব্যপরটা হয়ত এমনও হতে পারে যে, মা কারো কাছ থেকে শুনেই আমাকে
লিখেছেন। সে যাই হোক, এর সত্য-মিথ্যা তুমিই ভালো জানো। যদি এটা মিথ্যা হয় তাহলে আমার
বলার কিছুই নেই। আর যদি সত্য হয় তাহলে আমি এখনই তোমাকে সমাধান করে দিচ্ছি যে, ওপথে
আর এক পা এগুবে না। কারণ এখন হয়ত শখ করে বন্ধু-বান্ধবের সাথে দু’এক টান দিচ্ছো। কিন্তু
একদিন এটা তোমার অভ্যাসে পরিণত হবে এবং তোমার জীবনে তা সর্বনাশ বয়ে আনতে পারে। তোমার
অজানা নয় যে, সিগারেটসহ আন্যান্য মাদকাসক্তির কুফল অতি মারাত্মক। মাদকাসক্তিত করণে
মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তি লোপ পায়। এরপর ধীরে ধীরে সে অন্ধকার জগতে প্রবেশ করে।
ছিনতাই, রাহাজনি, চুরি, ডাকাতি, খুন ইত্যাদি অপকর্মে লিপ্ত হয়। তোমার চেনাজানা কয়েকজনের
কথা ভাবতে পারো। দুই তিন বছর আগেও মহল্লায় যাদের বিশেষ সুনাম ছিল, আজ তাদেরকে সবাই
ঘৃণা করে। মোটকথা, মাদকদ্রব্য এমন এক জিনিস যার শুরুতে রয়েছে নেশা এবং সর্বশেষ পরিণাম
মৃত্যু। মাদকাসক্তির প্রভাবে যুবকশ্রেনীর নৈতিক অধঃপতন ঘটছে। নেশাগ্রস্তদের মধ্যে বাড়ছে
অপরাধপ্রবণতা। পারিবারিক ভাঙন, সামাজিক বিশৃঙ্খলা এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের অন্যতম
প্রধান কারণ হচ্ছে মাদকাসক্তি। মাদকদ্রব্য স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে মানুষকে টেনে নিয়ে
যাচ্ছে নরক জীবনে। তাই আশা করি আজ থেকে মনোযোগ দিয়ে পড়বে এবং আর কখনো নেশা জাতীয় দ্রব্য
স্পর্শ করবে না। মাকে আমার সালাম দিও।
ইতি
তোমার
বড় ভাই
“এ”