সহজে ইংরেজি উচ্চারণ করার নিয়ম ও উদাহরণ

আধুনিক এই পৃথিবীতে প্রায় ৭০০ কোটি মানুষ বসবাস করে। প্রত্যেকে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য নানা রকমের ভাষা ব্যবহার করে থাকেন। আর এই ভাষার ভিন্নতার মধ্যেই সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত মুখের ভাষা হচ্ছে ইংরেজি ভাষা। আর এই ইংরেজি ভাষা শেখা এবং বলার জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু বর্ণ বা শব্দ। যদিও এসকল বর্ণ বা শব্দ শিখতে সমস্যা না হলেও, ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে গেলে আমরা প্রায় ভুল উচ্চারণ করে থাকি। আর এই ইংরেজি উচ্চারণ নির্দিষ্ট  একটি নিয়ম মেনে চলে আর তা হলো IPA (International Phonetic Association) । IPA এমন একটা সংস্থা, যারা ইংরেজি ভাষায় ব্যবহৃত সমস্ত বর্ণ বা শব্দের উচ্চারণ (Pronunciation)  এর নিয়মনীতি প্রকাশ করে থাকেন। তাই আজকের এই ব্লগে আমি ইংরেজি শব্দের উচ্চারণের IPA এর সমর্থিত কয়েকটা নিয়মনীতি শেয়ার করবো,  আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন। তাহলে শুরু করা যাক।


সহজে ইংরেজি উচ্চারণ করার নিয়ম ও উদাহরণ, ইংরেজি উচ্চারণ, English Pronunciation, English, Learn English



জেনে রাখা ভালোঃ ইংরেজি বর্ণ ২৬ টি এগুলো কে ভাগে ভাগ করা হয় যেমনঃ

  1. Consonant
  2. Vowel

 

Vowel & Consonant সম্পর্কে সামান্য জেনে রাখা ভালো, নিচে এদের সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ-

 

Consonant: যে Word বা বর্ণ অন্য বর্ণের সাহায্য ছাড়া উচ্চারিত হয় না বা হতে পারে না অথবা বর্ণ উচ্চারণের সময় মুখে বাধা পায় তাকে Consonant বলে

 

ইংরেজিতে Consonant ২১ টিঃ

B, C, D, F, G, H, J, K, L, M, N, P, Q, R, S, T V, W, X, Y, Z

 

Vowel: যে Word বা বর্ণ একাকী উচ্চারিত হয় বা হতে পারে অথবা বর্ণ উচ্চারণের সময় মুখে কোথাও বাধা পায় না তাকে Vowel বলে

 

ইংরেজিতে Vowel টিঃ

A, E, I, O, U

 

IPA এর দেওয়া ইংরেজি শব্দের উচ্চারণ (Pronunciation) এর কিছু নিয়মনীতি নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

 

নিয়মঃ ০১ => যদি U + Consonant + Vowel এই নিয়মে কোন Word গঠিত হয়, তাহলে U এর উচ্চারণইউহয় যেমন

Uniform – U + N + I = ইউনিফর্ম

University – U + N + I = ইউনিভার্সিটি

 

U এর আগে যদি Consonant + R / L থাকে তাহলে U এর উচ্চারণদীর্ঘ এর মতো উচ্চারিত হবে যেমন

Fluante - L + U = ফ্লুঅ্যান্ট

Flu – L + U = ফ্লু

 

U + E এর আগে যদি Consonant + R / L না থাকে তাহলে U এর উচ্চারণইউএর মতো উচ্চারিত হবে যেমন

Clue - ক্লু

Glue – গ্লু

 

U এর পর যদি এমন দুটি Consonant থাকে যাদেরকে আলাদাভাবে উচ্চারণ করতে হয় (প্রথমটি এক Syllable – শেষ হয় আর অন্যটি নতুন Syllable দিয়ে শুরু হয়) তাহলে দুটি Consonant এর পরে E / I / A যদি থাকেও তাহলে “U” এর উচ্চারণএর মতো উচ্চারণ হবে যেমন

Number – U + M B (Num + ber) = Number (নাম্বার)

Plumber – U + M B (Plum + ber) = Plumber (প্লাম্বার)

 

 ……. O + Consonant + U + Consonant + A / E / I এভাবে Word গঠিত হলে “U” এর উচ্চারণইউএর মতো উচ্চারিত হবে যেমন

Monument – O + N + U + M + E = মনিউম্যান্ট

Document – O + C + U + M + E =ডকিউম্যান্ট

 

Consonant + U + Consonant যদি এমন ভাবে কোন Word গঠিত হয় তাহলে ‘U’ এর উচ্চারণএর মতো হবে যেমন

Null – N + U + L = নাল

But – B + U + T = বাট

Hut – H + U + T = হাট   

 

 

নিয়মঃ ০২ =>  UI + Consonant এর পর অন্য কোন Vowel না থাকলে UI এর উচ্চারণএর মতো হবে যেমন

Guilty = গিলটি

Circuit = সার্কিট

 

কিন্তু UI + Consonant + I কিংবা Consonant + L  / R / UI এভাবে Word গঠিত হলে তবে তার উচ্চারণইউইবাউইহয় যেমন

Perpetuity = প্যারপিচিউইটি

Intuition = ইন্টিউশন

 

UI + Consonant + A / E / O এভাবে Word গঠিত হলে, তবে UI এর উচ্চারণ হবে (আই - I) এর মতো যেমন

Guide – UI + D + E = গাইড

কিছু, সাধারন উদাহরণ যেমন

Idea = আইডিয়া, Icon = আইকন, Ice = আইস, Idol = আইডল

 

Consonant + IA + Consonant এভাবে যদি কোন Word গঠিত হয়, তাহলে ‘IA’ এর উচারণ হবেআইঅ্যা যেমন

Diamond – D + IA + M = ডাইঅ্যাম্যান্ড

Dialogue – D + IA + L = ডাইঅ্যালগ

 

 

নিয়মঃ ০৩ => IO এর উচ্চারণআইয়হয় যেমন

Violet = ভাইয়লেইট

Biology = বাইয়লজি

 

 

নিয়মঃ ০৪ => যদি Consonant + AI হয় , তাহলে AI এর উচ্চারণ বাংলা ‘এই’ অথবা ‘এয়্যা’ হবে। যেমন –

Rail – R + Ai = রেইল

Jail – J + Ai = জেইল

Tail – T + Ai = টেইল

Dairy – D + Ai = ডেয়্যারি

 

 

নিয়মঃ ০৫ => কোন Word এর শেষে যদি IRE তিনটি বর্ণ থাকে , তাহলে ‘I’ এর উচ্চারণ হবে ‘আয়্যা’। যেমন –

Desire = ডিজ্যায়্যার

 

 

নিয়মঃ ০৬ => কোন Word এর শেষে যদি AI + R থাকে, এবং Word এর শেষ বর্ণ যদি ‘R’ হয়। তাহলে ‘AI’ এর উচ্চারণ “এয়্যা” এর মতো হবে। যেমন –

Repair – Ai + R = রিপেয়্যার

Hair – Ai + R = হেয়্যার

Chair – Ai + R = চেয়্যার

 

 

নিয়মঃ ০৭ => যদি কোন Word – এ একত্রে ‘IGH’ থাকে, তাহলে এর উচ্চারণে ‘G’ অনুচ্চারিত থাকে। তখন এর উচ্চারণ হবে বাংলা ‘আই’ এর মতো। যেমন – 

Night – IGH = নাইট

Fight – IGH = ফাইট

Bright – IGH = ব্রাইট

Right – IGH = রাইট

 

কিন্তু IGH এর আগে যদি ‘E’ থাকে (EIGH) তাহলে এর উচ্চারণ বাংলায় ‘ঈ’ এর মতো হবে। যেমন –

Height – E + IGH = হাঈট

 

 

নিয়মঃ ০৮ => যদি কোন Word – এর শেষে অথবা একত্রে ‘IGN’ থাকে, তাহলে এর উচ্চারণে ‘G’ অনুচ্চারিত থাকে। তখন এর উচ্চারণ হবে বাংলা ‘আইন’ এর মতো। যেমন –   

Design – IGN = ডিজাইন

Sign – IGN = সাইন

Align – IGN = অ্যালাইন

 

কিন্তু IGN এর আগে যদি ‘E’ থাকে (EIGN) তাহলে এর উচ্চারণ বাংলায় ‘এইন’ এর মতো হবে। যেমন –  

Reign – E + IGN = রেইন

 

 

নিয়মঃ ০৯ => যদি কোন Word – এ EA Or EE + R এভাবে থাকে এবং R যদি Word এর শেষ বর্ণ হয়, তাহলে EA Or EE এর উচ্চারণ বাংলায় ‘ঈঅ্যাা / ইয়্যা ’ হবে। যেমন –

Gear – EA + R = গীয়্যার

Near – EA + R = নীয়্যার

Steer – EE + R = স্টিয়্যার

 

 

নিয়ম ১০ => যদি কোন Word – এ EI Or IE + Consonant এভাবে থাকে, তাহলে এর উচ্চারণ হবে বাংলায় “ঈ” এর মতো হবে । যেমন –

Conceive – EI + V = কনসীভ

Deceit – EI + T = ডিসীট

 

কিন্তু Word – এর শেষে যদি ‘IE’ ব্যবহার হয়, তাহলে এর উচ্চারণ বাংলায় ‘আই’ এর মতো হবে। যেমন –

Lie – IE = লাই

Magpie - IE = ম্যাগপাই

 

 

নিয়মঃ ১১ => যদি কোন Word – এর মধ্যে “OE” থাকে, তাহলে এর উচ্চারণ বাংলায় “ঈ” এর মতো হবে। যেমন –

Phoenix – OE = ফনীক্স

 

 

নিয়মঃ ১২ => যদি কোন Word – এ  EA + R + Consonant এভাবে কোন বাক্য গঠিত হয়, তাহলে EA এর উচ্চারণ বাংলায় ‘অ্যা’ এর মতো হবে। যেমন –

Heart – EA + R + T = হ্যারট

Bear – EA + R = বিয়্যার

 

কিন্তু, যদি কোন Word – এ Consonant + R দিয়ে শুরু হয়ে তারপর EA + R অথবা অন্য কোন Consonant ব্যবহার করা হয়, তাহলে “EA” এর উচ্চারণ বাংলায় “এ” এর মতো হবে।

Bread – B + R ++ EA + R = ব্রেড

Threat – TH + R ++ EA + T = থ্রেট

 

Consonant + EA + Consonant (“R” ছাড়া) এভাবে যদি কোন Word – এ ব্যবহার করা হয়, তাহলে ‘EA’ এর উচ্চারণ বাংলায় “ঈ” এর মতো হবে। যেমন –

Treat – TR + EA + T = ট্রীট

Real – R + EA + L = রীয়্যাল

Read – R + EA + D = রীড

 

EE + R অথবা ভিন্ন কোন Consonant – এই নিয়মে ব্যবহার হলে “EE” এর উচ্চারণ ‘ঈ’ এর মতো হবে। যেমন –

Steel – EE + L = স্টীল

Leek – EE + K = লীক

 

 

নিয়মঃ ১৩ => যদি E + R এবং এরপরে Vowel না থাকে তাহলে E এর উচ্চারণ “অ্যা” হয়।  যেমনঃ

Cater – ER – E + R = কেইট্যার

Amber – ER – E + R = অ্যাম্বার

 

কিন্তু, E + R + E এভাবে ব্যাবহার হলে এবং এরপরে কোন বর্ণ না থাকলে , প্রথম E এর উচ্চারণ হয় “ইয়্যা” বা “এয়্যা”  এবং পরের E অনুচ্চারিত থাকে। যেমনঃ

Here – ERE – E + R + E =  হীয়্যার

There – ERE – E + R + E = দেয়্যার

 

যদি, E + Consonant + E + Consonant এভাবে ব্যবহার হলে, দুটি E এর  উচ্চারণই হবে “ই” বা “এ” এর মতো। যেমনঃ

Heretic  - ERET – E + R + E + T = হেরেটিক

 

 

নিয়মঃ ১৪ => কোনো শব্দের মধ্যে যদি OA + Consonant এভাবে ব্যবহার হলে, তাহলে OA এর উচ্চারণ বাংলা “ঔ” এর মতো হবে। যেমনঃ

Load – OAD – Oa + d = লৌড

Loan – OAN – Oa + n = লৌন 

 

কিন্তু, কোনো শব্দে OA + R থাকলে, OA এর উচ্চারণ “অ্য” মতো হয়।

Board – OAR – Oa + r = বোর্ড

 

 

নিয়মঃ ১৫ => কোনো শব্দের মধ্যে যদি STL একসাথে থাকে, তাহলে STL এর উচ্চারণ হবে “সল”। এখানে STL এর ‘T’ অনুচ্চারিত থাকবে। যেমনঃ

Bustle – STL = ব্যাসল

 

 

নিয়মঃ ১৬ => কোন শব্দের মধ্যে যদি WR থাকে, তাহলে WR এর উচ্চারণ “র” হবে। এখানে WR এর ‘W’ অনুচ্চারিত থাকবে। যেমনঃ

Write – Wr = রাইট

Wring – Wr = রিং

Wrong – Wr = রং

 

 

নিয়মঃ ১৭ => যদি কোনো শব্দে ‘M’ এর পরপর ‘B’ থাকে (MB) এবং ‘B’ এর পরে অন্য কোনো Vowel না থাকলে ‘B’ এর উচ্চারণ অনুচ্চারিত থাকবে। যেমনঃ

Bomb – MB – M = বম

Dumb – MB - M = ডাম

 

 

নিয়মঃ ১৮ => যদি কোনো শব্দে P + S পাশাপাশি থাকলে এবং P এর আগে কোনো Vowel না থাকলে, P এর উচ্চারণ অনুচ্চারিত থাকবে। যেমনঃ

Psychology – PS = সাইকোলজি

 

 

নিয়মঃ ১৯ => যদি কোনো শব্দের শেষে GH থাকে তাহলে GH এর উচ্চারণ “ফ” এর মতো হবে, তবে কখনো কখনো GH এর উচ্চারণ অনুচ্চারিত থাকবে। যেমনঃ

Tough – gh = টাফ (উচ্চারিত)

Thigh – gh = থাই (অনুচ্চারিত)

 

তবে GH এর পর “ T বা N বা M ” থাকে তাহলে ‘GH’ এর GH এর উচ্চারণ অনুচ্চারিত থাকবে। যেমনঃ

Might – GHT – GH + T = মাইট (GH এর উচ্চারণ অনুচ্চারিত)

Sight – GHT – GH + T = সাইট (GH এর উচ্চারণ অনুচ্চারিত)

 

 

নিয়মঃ ২০ => কোনো শব্দের মধ্যে যদি TCH পাশাপাশি আসে তাহলে TCH এর উচ্চারণ “চ” এর মতো হবে। যেমনঃ

Batch – TCH = ব্যাচ

Catch – TCH = ক্যাচ

 

 

নিয়মঃ ২১ => যদি কোনো শব্দের প্রথমে PT আসলে, তাহলে তার উচ্চারণ ‘ট’ এর মতো হবে এবং P এর উচ্চারণ অনুচ্চারিত থাকবে। যেমনঃ

Ptyalin – PT = টাইঅ্যালিন

 

 

নিয়মঃ ২২ => যদি কোনো শব্দের প্রথমে KN অথবা GN থাকলে, তাহলে উভয়ের উচ্চারণ “ন” এর মতো হবে এখানে K / G এর উচ্চারণ অনুচ্চারিত থাকবে। যেমনঃ

Know – KN – N = নো

Knowledge – KN – N = নলেজ

Gnarlier – GN – N = নারলিয়ার

 

 

নিয়মঃ ২৩ => যদি কোনো শব্দ X দিয়ে শুরু হয়, তাহলে X এর উচ্চারণ “জ” এর মতো হবে। যেমনঃ

Xerox – X = জেরক্স

Xylem – X = জাইলেম

 

আশা করি আপনি পুরো পোষ্টটি যত্ন সহকারে পড়েছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। আর এটাই আমার সার্থকতা। আর এই পোষ্টটে যদি কোন ভুল দৃষ্টগোচর হয় তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। পোষ্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে শেয়ার এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আজ আর নয়, কথা হবে অন্য কোন দিন এবং নতুন কোন ব্লগে। ঐ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেয।

About the author

AHSHAN HABIB
Hello! I am Ahshan Habib. Blogging is My Hobby and I Would Like to Share my Knowledge With Everyone. Here I Will Share Every Day About Education, Technology, and Programming. So Stay With us And Share my Page on Your Social Platform.

Post a Comment