Create a free Website on BlogSpot বর্তমানে এমন অনেক প্লাটফর্ম আছে যেখানে ফ্রি তে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো, BlogSpot
প্রিয় ভিউয়ারস, আসসালামু আলাইকুম। আশা করি ভালো আছেন। টাইটেল দেখে অবশ্যই বুঝে নিয়েছেন কি নিয়ে আজকের এই ব্লগ। হ্যাঁ, আজকের ব্লগে কীভাবে একটি ওয়েবসাইট ব্লগস্পটে ফ্রিতে খোলা যায় তা নিয়ে ধাপে ধাপে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
বর্তমানে এমন অনেক প্লাটফর্ম আছে যেখানে ফ্রি
তে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো, BlogSpot, WordPress,
typepad, blogster, Ouo, thoughts ইত্যাদি। তবে একমাত্র কোনরকম কোডিং বা প্রোগ্রামিং
জ্ঞান ছাড়াই আপনি ব্লগস্পট (BlogSpot) দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
- [message]
- নোটঃ
- আপনি যদি এই ফ্লাটফর্মে নতুন এবং কোনো পূর্ব কোডিং জ্ঞান নাই। তাহলে গুগল ব্লগস্পট (BlogSpot) এ হবে আপনার প্রথম পছন্দ এবং নির্দিধায় ব্যবহার করতে পারেন।
👉যে কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইট ডিজাইন
করতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
গুগল ব্লগস্পট (BlogSpot) এ আপনি আপনার ব্যাক্তিগত
পোর্টপোলিও, শিক্ষাপ্রতিষ্টান (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কিন্ডার গার্ডেন), ব্যবসা
প্রতিষ্ঠান, ব্লগ ইত্যাদি যেকোন ওয়েবসাইট অনায়াসে তৈরি করতে পারবেন।
কীভাবে ব্লগস্পট (BlogSpot) দিয়ে সহজে ওয়েবসাইট তৈরি করবেন?
গুগল ব্লগস্পট (BlogSpot) দিয়ে কীভাবে সহজে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় তা
নিয়ে ধাপে ধাপে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হলো –
ধাপ ১ – প্রথমে আপনি একটি Gmail Account খুলে
নিন (কীভাবে Gmail Account খুলতে হয়, এখানে দেখুন)। যদি Gmail Account পূর্বেই খোলা
থাকে তাহলে সমস্য নাই।
ধাপ ২ – তারপর আপনি আপনার Gmail Account দিয়ে
Blogger.com এই সাইটে গিয়ে সাইন-ইন করুন।
ধাপ ৩ – তারপর আপনি আপনার ওয়েবসাইটের টাইটেল
দিবেন (১০০ ক্যরেক্টারের বেশি যাতে না হয়)। হতে পারে আপনার ব্লগের নাম অথবা আপনার ব্লগের
স্লোগান ইত্যাদি। তারপর “Next” বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৪ – তারপর আপনি আপনার পছন্দ মতো একটি
ওয়েব এড্রেস লিখুন যার মাধ্যমে আপনি এবং ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারবে।
তবে ওয়েব এড্রেস অবশ্যই ইউনিক হতে হবে, যা ইতিপূর্বে কেউ ব্যবহার করে না। তারপর
“Next” বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৫ – এই ধাপে আপনি আপনার নাম, সাইটের নাম
অথবা আপনার পছন্দমতো একটি নাম দিবেন, যাতে করে আপনার ব্লগসাইটের / ওয়েবসাইটের ভিজিটরস
আপনাকে জানতে পারে। তারপর “Finish” বাটনে ক্লিক করুন।
👉আপনি কি আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইট
খুলতে চাচ্ছেন? তাহলে আজই যোগাযোগ করুন।
কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন এবং নিম্নের চিত্রের
মতো একটা ড্যাশবোর্ড দেখতে পাবেন। Hurrah! আপনি সফলভাবে আপনার সাইট তৈরি করে নিয়েছেন।
সাইট তো তৈরি হলো এখন আমরা গুগল ব্লগস্পট
(BlogSpot) এর ড্যাশবোর্ড এর সাথে পরিচিত হই।
ড্যাশবোর্ড পরিচিতিঃ
১ – Hamburger মেনু আইকন এ ক্লিক করে আপনি
আপনার ডাশবোর্ড এর সাইড-মেনু Hide এবং Show করতে পারবেন।
২ – এখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের টাইটেল দেখতে
পারবেন। এবং যদি আপনি এই ইমেইলের আন্ডারে আরও সাইট খুলতে চান, তাহলে ডাউন এরো তে ক্লিক
করে “New Blog” বাটনে ক্লিক করে পূর্বের ধাপ অনুসরণ করে সহজে ব্লগসাইট তৈরি করতে পারেবন।
New Post: এখানে ক্লিক করে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে
পোষ্ট লিখতে পারবেন এবং পাবলিশ করতে পারবেন। (ব্লগসাইটে কীভাবে পোষ্ট করতে হয় তা নিয়ে
পরে বিস্তারিত আলোচনা করবো, ইনশাআল্লাহ্)
Posts: আপনি আপনার ওয়েবসাইটে যত পোষ্ট করছেন এবং সামনে করবেন সকল পোষ্টের তালিকা এখানে দেখবেন। এই সেকশনে গেলে আপনি আরও কিছু আপশন পাবেন। ডিফল্ট “All” সিলেক্ট থাকে তার পাশে ডাউন এরো তে ক্লিক করলে আরও কিছু অপশন যথাক্রমে (Published, Draft, Scheduled এবং Trash)
- Published: এখানে ওয়েবসাইটের সকল পাবলিশ করা পোষ্ট দেখতে পারবেন।
- Draft: এখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের পাবলিশ করা পোষ্ট যদি আনপাবলিশ করেন তাহলে সকল আনপাবলিশ করা পোষ্ট “Draft” এ দেখতে পারবেন।
- Scheduled: আপনি আপনার ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট সময়ের পরপর যে পোষ্টগুলো পাবলিশ করবেন বা করতে চান। ঐ পোষ্ট গুলো এই অপশনে দেখতে পারবেন।
- Trash: আপনার ডিলেটকৃত সকল পোষ্ট এখানে দেখতে পারবেন।
👉যে কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইট ডিজাইন
করতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
Stats: এখান থেকে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর
সম্পর্কে জানতে পারবেন। পাশাপাশি ভিজিটর কোন পোষ্ট কত বার দেখেছে, কোন পেইজ কত বার
দেখেছে, কোন ব্রাউজার দিয়ে সাইট ভিজিট করেছে, কোন দেশ থেকে সাইটে আসছে, এবং আপনার ওয়েবসাইটের
ব্যাকলিংক এর তথ্য, এবং আপনার ওয়েবসাইটে কি কি কিওয়ার্ড দিয়ে আসছে সকল তথ্য জানতে পারবেন।
Comments: এই সেকশন থেকে আপনার ওয়েবসাইটের
পাবলিশকৃত পোষ্টে কোন ভিজিটর যদি মন্তব্য (Comment) করে তা এখানে দেখতে পারবেন।
Earnings: এই সেকশনের মাধ্যমে আপনি আপনার
ব্লগসাইটে Google AdSense এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এবং প্রয়োজন হলে Google
AdSense রিমুভ ও করতে পারবেন।
Pages: এই সেকশনটি মূলত আপনার ব্লগসাইট সম্পর্কে,
আপনার সম্পর্কে এবং আপনার সাইটের প্রাইভেসি পলিসি, ডিসক্লেমার ইত্যাদি পেইজ এখানে তৈরি
করতে পারবেন এবং তা এখানেই দেখতে পারবেন।
Layout: প্রতিটি ওয়েবসাইটে কিছু কাঠামো দিয়ে
তৈরি করা, আর আপনার ওয়বসাইটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো “Layout” এর মাধ্যমে আপনার
সাইটের কোথায় কি দেখাবেন এবং না দেখাবেন এই সেকশন দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এবং আপনি
চাইলে ব্লগস্পটের ডিফল্ট “Gadget” ব্যবহার করতে পারবেন।
Theme: এই সেকশনে ব্লগস্পট প্রদত্ত প্রায়
৫৩ টি Themes রয়েছে। এখান থেকে আপনি নিজের ইচ্ছামতো আপডেট এবং কাস্টোমাইজ করতে পারবেন।
তবে আপনি চাইলে থার্ড পার্টি Themes ব্যবহার করতে পারবেন।
Settings: এই সেকশনের মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের নিয়ন্ত্রণ
করতে পারবেন। (Settings অপশন নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে, ইনশাআল্লাহ্)
Reading List: এই সেকশনে গুগল এর আপডেট গুলো
দেখতে পারবেন।
View Blog: এইখানে ক্লিক করে আপন আপনার ব্লগসাইটে
ভিজিট করতে পারবেন।
👉আপনি কি আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইট
খুলতে চাচ্ছেন? তাহলে আজই যোগাযোগ করুন।
ব্লগস্পট (BlogSpot) এর Settings পরিচিতিঃ
এই পর্বে ব্লগস্পট (BlogSpot) এর কিছু উল্লেখযোগ্য
Settings নিয়ে আলোচনা করবো –
Basic Settings:
Title: ব্লগে সাইট খোলার সময় যে টাইটেল দিয়েছেন
তা এখানে দেখবেন। আপনি যদি পরিবর্তন করতে চান তাহলে লেখার উপর ক্লিক করে পরিবর্তন করতে
পারবেন।
Description: এখানে আপনার ওয়েবসাইটে কি সম্পর্কে
পোষ্ট লিখবেন তা নিয়ে কয়েক লাইন বর্ণনা লিখবেন। Description সর্বোচ্চ ৫০০ শব্দের হতে
হবে অথবা তার নিচে।
Blog Language: ডিফল্ট English সেটাপ থাকে।
আপনি আপনার মতো আপডেট করে নিবেন, না হয় যেমন আছে তেমনি রেখে দিবেন।
Adult Content: আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে
Adult Content দিতে চান তাহলে এই অপশনটি চালু করে রাখবেন। তাহলে নিম্ন বয়স্কের আপনার
ওয়েবসাইট ভিজিট করলে একটা ওয়ার্নিং ম্যাসেজ দেখাবে।
Google Analytics Measurement ID: এখানে আপনি
আপনার ওয়েবসাইটের Google Analytics ID দিবেন। তার নমুনা (G-NOTESAID24COM)
Favicon: আপনার ওয়েবসাইটের টাইটেলের পাশে
ডিফল্ট ব্লগস্পট (BlogSpot) এর আইকন দেওয়া থাকে। আপনি আপনার ওয়েবসাইটে কাস্টম
Favicon ব্যবহার করেতে চাইলে এখান থেকে করতে পারবেন। (Favicon এর নির্দিষ্ট পরিমাপঃ
১৬/১৬ অথবা ৩২/৩২)
Privacy Settings:
Visible to Search Engine: এটা যেমন আছে তেমনি
রেখে দিন। তবে আপনি যদি সাইটের কোনো আপগ্রেড অথবা আপডেট করতে চান এবং তা যদি আপনার
ভিজিটর কে না দেখাতে চান তাহলে এই সেটিংস অফ করে দিবেন। তাহলে আপনার সাইট গুগল সার্চ
ইঞ্জিনে দেখাবে না।
Publishing Settings:
Blog Address: এখানে আপনার সাইটের এ্যাড্রেস
দেখতে পারবেন।
Custom domain: সাধারণত ব্লগস্পট
(BlogSpot) ফ্রি সাইট তাই এখানে আপনার ডোমেনের সাথে blogspot শব্দটা অতিরিক্ত থাকে।
যেমনঃ আপনার সাইটের ডোমেন নেইম হলো abc.com কিন্তু ব্লগস্পট (BlogSpot) এ তা হবে abc.blogspot.com।
আর এই blogspot বাদ দিতে হলে আপনাকে Custom domain name কিনে এই অংশে সেটাপ করতে পারবেন।
(ব্লগারে কীভাবে কাস্টম Domain সেটাপ করতে হয় তা নিয়ে অন্য কোনো ব্লগে আলোচনা করবো,
ইনশাআল্লাহ্)
HTTPS Settings:
HTTPS Redirect: বর্তমানে দুই ধরণের প্রোটোকল
রয়েছে (HTTP এবং HTTPS)। HTTP এর পূর্ণরূপ হলো HyperText Transfer Protocol এবং
HTTPS এর পূর্ণরূপ হলো HyperText Transfer Protocol Secure। এর মধ্যে সবচেয়ে নিরাপত্তা
হলো HTTPS। যা ভিজিটর এবং ওয়েবসাইটের সাথে এনক্রিপ্টেড পদ্ধতিতে ডাটা আদান প্রদান করে।
আর এই কাজ গুগল নিজেই করে দেয়, তাই এই অপশন যেমন আছে তেমনি রেখে দিন।
Permissions Settings:
Blog admins and authors: এই অংশে আপনি আপনার
ওয়েবসাইটের সকল Admin এবং Author এর তালিকা দেখতে পারবেন।
Invite More Authors: এটা দ্বারা আপনি আপনার
ওয়েবসাইটে পোষ্ট দেওয়া অথবা পোষ্ট মনিটরিং করার জন্য অথর নিয়োগ করতে পারবেন।
Pending author invites: আপনি আপনার ওয়েবসাইটে
যে সকল অথর ইনভাইট করেছেন কিন্তু তারা এখনও আপনার ইনভাইট গ্রহণ করে নাই তাদের তালিকা
এখানে দেখতে পারবেন।
Reader Access: এর দ্বারা আপনি আপনার ভিজিটর
নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
👉আপনি কি আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইট
খুলতে চাচ্ছেন? তাহলে আজই যোগাযোগ করুন।
Posts Settings:
এই অংশ যেমন আছে তেমনি রেখে দিন। তেমন কিছু
পরিবর্তন করতে হবে না।
Comments Settings:
এই অংশ যেমন আছে তেমনি রেখে দিন। তেমন কিছু
পরিবর্তন করতে হবে না। তবে আপনি যদি চান ভিজিটর এর কমেন্ট দেখে আপনি আপনার ওয়েবাসাইটে
দেখাতে চান তাহলে “Comment Moderation” থেকে “Always” সিলেক্ট করে দিন।
Email Settings:
এই অংশ যেমন আছে তেমনি রেখে দিন। তেমন কিছু
পরিবর্তন করতে হবে না। তবে যদি আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ইমেইলের মাধ্যমে পোষ্ট করতে চান
তাহলে এই অংশ এক্সপ্লোর করতে পারেন।
Formatting Settings:
Time Zone: এটা সাধারণত “Los Angles” এর টাইম
জোন অটো নিয়ে থাকে। আপনি যে দেশের নাগরিক ওই দেশের টাইম জোন অনুযায়ী সেটাপ করে নিবেন।
যেমন “(GMT+06:00) Bangladesh Standard Time – Dhaka”।
এছাড়া আর কোনো পরিবর্তন করতে হয় না। আপনি
চাইলে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টোমাইজ করে নিতে পারবেন।
Meta Tags Settings:
Enable search description: এটা সাধারণত
SEO এর জন্য সবচেয়ে কার্যকরী। তাই এটা অন করে নিবেন।
Search description: এটার উপরে ক্লিক করে
আপনার ওয়েবসাইটের উপরে সর্বোচ্চ ১৫০ শব্দের সংক্ষিপ্ত বর্ননা লিখে “Save” করে নিবেন।
Errors and Redirects Settings:
Custom 404: ব্লগস্পট (BlogSpot) এ নিজস্ব
কাস্টম ৪০৪ পেইজ ডিফল্ট থাকে। তবে আপনি আপনার মতো কাস্টম ৪০৪ পেইজ সেটাপ করে নিতে পারবেন।
Custom redirects: সাধারণত ব্লগসাইটে হোম
পেইজে যায় কিন্তু আপনি যদি আপনার নিজস্ব পেইজে নিতে চাইলে এই অপশনটি ব্যবহার করতে পারেন।
Crawlers and Indexing, Monetization Settings:
এই অংশ যেমন আছে তেমনি রেখে দিন। তেমন কিছু
পরিবর্তন করতে হবে না।
Manage Blog:
Import Content: আপনার পূর্বের ওয়েবসাইটের
ডাটা বর্তমান ওয়েবসাইটে আপলোড করার জন্য এই অপশনটি ব্যবহার করতে পারেন।
Back up Content: আপনার ওয়েবসাইটের সকল পোষ্ট
ব্যাক-আপ নেওয়ার জন্য এই অপশনটি ব্যবহার করতে পারেন।
Videos from your blog: আপনার ওয়েবসাইটের
সকল ভিডিও দেখুন এখান থেকে।
Media from your blog: আপনার ওয়েবসাইটের সকল
ছবি দেখুন এখান থেকে।
Remove your blog: ওয়েবসাইট ডিলেট করার জন্য
এই অপশন টি ব্যবহার করতে পারেন।
General:
User profile: এখান থেকে আপনি আপনার নাম,
ইমেইল, ডিসপ্লে নেইম, ছবি, লিঙ্গ, ওয়েবসাইটের লিংক, হুইশলিষ্ট, আইএম ইউজারনেম, শহর,
বিভাগ, দেশ, কাজের বিবরণ, পেশা, ইন্টারেস্ট, সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, প্রিয় মুভি, প্রিয়
গান, প্রিয় বই, আপনার সম্পর্কে র্যান্ডম প্রশ্ন ইত্যাদি দিতে পারবেন।
👉যে কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইট ডিজাইনকরতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
কীভাবে ব্লগস্পট (BlogSpot) এ নতুন পোষ্ট দিবেন?
আমরা ইতিপূর্বে ব্লগস্পট (BlogSpot) এর ড্যাশবোর্ড
সম্পর্কে বেসিক ধারণা নিয়েছি। এখন আমরা দেখবো কীভাবে ব্লগসাইটে সহজে পোষ্ট করা যায়
এবং পোষ্ট এর সকল খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে।
প্রথমে ব্লগস্পট (BlogSpot) এর ড্যাশবোর্ড
থেকে “New Post” বাটনে ক্লিক করুন এবং নিম্নের চিত্রের মতো একটা পোষ্ট Editor দেখতে
পারবেন।
Post Editor পরিচিতিঃ
Title: প্রথমে আপনি আপনার পোষ্টের টাইটেল
এখানে দিবেন। (তবে পোস্ট টাইটেল ৫০-৬০ ক্যারেক্টারের বেশি যাতে না হয়। SEO এর জন্য
সবচেয়ে উত্তম হলো সর্বোচ্চ ৬০ ক্যারেক্টার)
১ – এখানে ক্লিক করলে আপনি দুটি আপশন দেখতে
পারবেন (HTML View, Compose View) সাধারণত Compose View Mood এ থাকে। তবে আপনি যদি
পোষ্টের মধ্যে কাস্টম কোনো পরিবর্তন করতে চান তাহলে HTML Mood View ব্যবহার করতে পারবেন।
২ – এটা সাধারণত ডিলেটকৃত লেখা, ইমেইজ, লিংক
ইত্যাদি পিরিয়ে আনার জন্য ব্যবহার করা হয়।
৩ – পূর্বের অবস্থা পিরিয়ে আনার জন্য ব্যবহার
করা হয়।
৪ – এখানে গুগল ব্লগস্পট (BlogSpot) এর ডিফল্ট
ফন্টের তালিকা দেখতে পারবেন। এবং আপনার পছন্দ মতো ফন্ট যোগ করতে পারবেন।
৫ – এর দ্বারা আপনি আপনার পোষ্টের লেখার সাইজ
কমাতে এবং বাড়াতে পারবেন।
৬ – লেখা মোটা করার জন্য এই অপশন ব্যবহার
করা হয়। (আপনি আপনার পোষ্টের যে অংশ মোটা করতে চান ঐ অংশটুকু সিলেক্ট করে এটার উপ ক্লিক
করলেই হবে। অথবা আপনার ল্যাপটপ / কম্পিউটারের কিবোর্ড এর ctrl + b প্রেস করেও লেখা
মোটা করতে পারবেন)
৭ – লেখা ইটালিক বা বাঁকা করার জন্য এই অপশন
ব্যবহার করা হয়। (আপনি আপনার পোষ্টের যে অংশ ইটালিক বা বাঁকা করতে চান ঐ অংশটুকু সিলেক্ট
করে এটার উপ ক্লিক করলেই হবে। অথবা আপনার ল্যাপটপ / কম্পিউটারের কিবোর্ড এর ctrl +
i প্রেস করেও লেখা ইটালিক বা বাঁকা করতে পারবেন)
৮ – লেখার নিচে আন্ডারলাইন দেওয়ার জন্য এই
অপশন ব্যবহার করা হয়। (আপনি আপনার পোষ্টের যে অংশ আন্ডারলাইন দিতে চান ঐ অংশটুকু সিলেক্ট
করে এটার উপ ক্লিক করলেই হবে। অথবা আপনার ল্যাপটপ / কম্পিউটারের কিবোর্ড এর ctrl +
u প্রেস করেও লেখার নিচে আন্ডারলাইন দিতে পারবেন)
৯ – এর দ্বারা আপনার পোস্টের লেখার মাঝ বরাবর
দাগ দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়। এই অপশনটি সাধারণত ই-কমার্স সাইট গুলোতে ব্যবহার করা
হয়।
১০ – পোষ্টের লেখাকে কালার করা জন্য এই আপশনটি
ব্যবহার করা হয়। (তবে এর জন্য যে অংশটুকু কালার করতে চান তা সিলেক্ট করে এর উপর ক্লিক
করবেন।)
১১ – পোষ্টের লেখার ব্যাকগ্রাউন্ড দেওয়ার
জন্য এই আপশনটি ব্যবহার করা হয়। (তবে এর জন্য লেখার যে অংশটুকুর ব্যাকগ্রাউন্ড দিতে
চান তা সিলেক্ট করে এর উপর ক্লিক করলেই হবে।)
১২ – ওয়েবসাইটের এক পোষ্ট অন্য পোষ্টের সাথে
লিংক করার জন্য, অথবা অন্য কোনো থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট পোষ্টের মধ্যে লিংক করার জন্য
এই অপশন ব্যবহার করা হয়।
১৩ – পোষ্টের মধ্যে ইমেইজ দেওয়ার জন্য এই
অপশন ব্যবহার করা হয়। এখানে ইমেইজ আনার জন্য আপনি চারটি আপশন পাবেন (যথাক্রমেঃ
Upload from Computer, Photos, Blogger এবং By URL)
১৪ – পোষ্টের মধ্যে ভিডিও দেওয়ার জন্য এই
অপশন ব্যবহার করা হয়। এখানে ভিডিও আনার জন্য আপনি দুটি আপশন পাবেন (যথাক্রমেঃ
Upload from Computer এবং Youtube)
১৫ – পোষ্টের মধ্যে স্পেশাল ক্যারেক্টার অথবা
ইমুজি এর মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারবেন।
১৬ - পোষ্টের লেখা এলাইন করার জন্য ব্যাবহার
করা হয়। যেমনঃ Left Align, Center Align, Right Align and Justify.
১৭ – পোষ্টের প্রতি প্যারাগ্রাপের সামনে ফাঁকা
(১ Tab পরিমাণ) করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
১৮ – পোষ্টের প্রতি প্যারাগ্রাপের সামনে ফাঁকা
(১ Tab পরিমাণ) কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।
১৯ -
থ্রি ডটে ক্লিক করলে আপনি আরও কিছু আপশন দেখতে পারবেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য
হলো –
- ১ – লেখার সামনে বুলেট লিষ্ট দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়।
- ২ – লেখার সামনে নাম্বার লিস্ট দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়।
- ৩ – পোষ্টের মধ্যে মনীষীদের বাণী ব্যবহার করা জন্য “Quote” ব্যবহার করা হয়।
- ৪ – বড় পোষ্টের মধ্যে ম্যানুয়ালি “Read more” বাটন যোগ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। যদিও ন নতুন ব্লগস্পট (BlogSpot) এর Template গুলো তে ম্যানুয়ালি “Read more” বাটন যোগ করতে হয় না অটো নিয়ে নেয়।
Post Editor Sidebar পরিচিতিঃ
Preview: এই অপশন দিয়ে আপনি আপনার পোষ্টের
প্রিভিউ দেখতে পারবেন।
Publish: সকল সেটাপ পরিপূর্ণ হলে আপনি পাবলিশ
বাটনে ক্লিক করলে, পোষ্টটি পাবলিশ হয়ে যাবে এবং আপনি আপনার ওয়েবসাইটে তা দেখতে পারবেন।
Lebels: এখানে আপনার পোষ্টের সারমর্ম অনুযায়ী
এক বা একাধিক লেভেল দিবেন।
Published On: এই অংশটি ডিফল্ট ভাবে আপনার
পোষ্ট করার সময় এবং তারিখ নিয়ে নেয়। আপনি যাযি ঔ সময় পোষ্ট করতে না চান তাহলে ডাউন
এরো তে ক্লিক করে “Set date and time” সিলেক্ট করে আপনার পছন্দমতো তারিখ এবং সময় কাস্টোমাইজ
করে নিতে পারবেন।
Permalink: এখানে আপনার পোষ্টের টাইটেল অনুসারে
আপনার পোষ্টের Permalink সেটাপ করে নেয়। আপনি যদি আপনার নিজস্ব Permalink সেটাপ করতে
চান তাহলে ডাউন এরো তে ক্লিক করে “Custom Permalink” সিলেক্ট করে আপনার পছন্দমতো
Permalink দিতে পারবেন। আর হ্যাঁ Permalink অবশ্যই SEO ফ্রেন্ডলি দেওয়া ভালো।
Location: আপনি আপনার পোষ্টে লোকেশন দেওয়ার
জন্য এই অপশনটি ব্যবহার করতে পারবেন।
পরিশেষে, আপনি যদি এতক্ষণ সময় নিয়ে সম্পূর্ণ পোষ্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন। আমি হলফ করে বলতে পারবো আপনার আর ব্লগস্পট (BlogSpot) সম্পর্কে আর কোনো সমস্যা হবে না, ইনশাআল্লাহ্। মানুষ মাত্রই ভুল করা , তারপরও যদি ব্লগস্পট (BlogSpot) সাইট তৈরি করতে এবং সেটাপ করতে কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন। আমি আপনাদের সমস্যার সমাধান করার জন্য চেষ্টা করবো। ব্লগস্পট (BlogSpot) নিয়ে যে কোনো আপডেট পেতে আমাদের সঙ্গে থাকুন এবং পেইজটি আপনার পরিচিতি মানুষের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আজ আর নয়, দেখা হবে অন্য কোনো ব্লগে অন্য কোনো দিন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আল্লাহ হাফেয।
COMMENTS