প্রিয় শিক্ষার্থীবন্ধুরা, আশা করি ভালো আছো। আজকের এই ব্লগে আমি তোমাদের মাঝে তৃতীয় শ্রেণির “আমার বাংলা বই” বইয়ের তৃতীয় পাঠ ‘রাজা ও তাঁর তিন কন্যা’ এর হ্যান্ডনোট শেয়ার করবো। আশা করি তোমাদের ভালো লাগবে এবং এই হ্যান্ডনোট টি ঠিকমতো আয়ত্ত্ব করতে পারলে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা সম্ভব হবে, ইনশাআল্লাহ্। তাহলে শুরু করা যাক –
“রাজা ও তাঁর তিন কন্যা” এই পাঠটি পড়ে যা জানতে পারবে
–
- রূপকথার রাজা ও তাঁর পরিবার সম্পর্কে
- রাজার তিন কন্যা এবং রাজার শিকার সম্পর্কে
- কন্যাদের প্রতি রাজার ভালোবাসার কথা সম্পর্কে জানতে পারবে।
“রাজা ও তাঁর তিন কন্যা” এই পাঠের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
–
- বর্তমানে রাজার পরিবর্তে শাসনকার্য পরিচালনা করেন রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী।
- উজিরের ভূমিকা পালন করেন বিভিন্ন মন্ত্রী।
- নাজিরের পরিবর্তে সরকারী কর্মচারী।
- পাইকের পরিবর্তে সৈন্য।
- বরকন্দাজ এর পরিবর্তে বন্ধুকধারী সেপাই।
“রাজা ও তাঁর তিন কন্যা” এর অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
–
১ – শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি –
শব্দ |
অর্থ |
জবাব |
উত্তর |
হাসির রেখা |
হাসির চিহ্ন |
অস্থির |
চঞ্চল |
হুকুম |
আদেশ |
বনবাসে |
বনে বাস করার জন্য
পাঠানো একধরনের শাস্তি। |
অরণ্য |
গাছাপালায় ভরা বনজঙ্গল। |
জন-প্রাণী |
মানুষ ও অন্যান্য
প্রাণী। |
খেয়াল |
ইচ্ছে। |
উজির |
মন্ত্রী। |
নাজির |
রাজার কর্মচারী। |
পাইক |
লাঠিয়াল/পেয়াদা। |
বরকন্দাজ |
যে সেপাইয়ের সঙ্গে বন্ধুক থাকে। |
জিরিয়ে |
বিশ্রাম করা। |
বেজায় |
খুব। |
বিস্বাদ |
কোনো স্বাদ নেই। |
বিরক্ত |
অসন্তুষ্ট/জ্বালাতন |
জিজ্ঞাসা |
জানার ইচ্ছা |
ক্ষুধার্ত |
ক্ষুধায় কাতর। |
২ – ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায়
বসিয়ে বাক্য তৈরি কর –
হুকুম |
অস্থির |
বেজায় |
জন-প্রাণী |
বরকন্দাজরা |
বিস্বাদ |
বনবাসে |
ক. বিপদে অস্থির হওয়া ভালো নয়।
খ. বাবা কাজটা করতে হুকুম দিলেন।
গ. এ বছর বেজায় শীত পড়েছে।
ঘ. চাঁদে কোনো জন-প্রাণী নেই।
ঙ. নুন ছাড়া খাবার খেতে বিস্বাদ লাগে।
চ. রাজা মেয়েকে বনবাসে পাঠালেন।
ছ. বরকন্দাজরা জমিদার বাড়ি
পাহারা দিত।
৩. যুক্তবর্ণ চিনে নেই। যুক্তবর্ণ দিয়ে তৈরি করা নতুন শব্দ পড়ি –
কন্যা |
ন্য |
ন |
য-ফলা |
বন্যা, বন্য |
বরকন্দাজ |
ন্দ |
ন |
দ |
ছন্দ, খন্দ |
প্রাণী |
প্র |
প |
র-ফলা |
প্রথম, প্রাণ |
ক্ষুধার্ত |
ক্ষ |
ক |
ষ |
ক্ষমা, ক্ষণ |
রান্না |
ন্ন |
ন |
ন |
কান্না, পান্না |
৪. শূন্যস্থান পূরণ করি –
ক. বকুল বলল “আমি তোমাকে মিষ্টির মতো ভালোবাসি”।
খ. রাজা একটু মুচকি হাসলেন।
গ. পারুলকে পাঠানো হলো বনবাসে।
ঘ. পারুল ফিরে আসায় রাজ্যে সবার মুখে
হাসি ফুটল।
৫. ঠিক উত্তরটি বাছাই করে বলে ও লিখি
–
ক. কে রাজাকে কী রকম ভালোবাসে
– সে প্রশ্নের উত্তরে প্রথম কন্যা কী বলল?
উত্তরঃ আমি তোমাকে চিনির মতো ভালোবাসি।
খ. রাজার ছোট মেয়েকে বনের মধ্যে কারা
বাড়ি বানিয়ে দিল?
উত্তরঃ বনের পরীরা।
গ. “আমাকে চিনতে পারেছেন?”
– রাজাকে এ প্রশ্ন কে করল?
উত্তরঃ পারুল।
ঘ. রাজা খুব খুশি হলেন কেন?
উত্তরঃ সাজানো খাবার দেখে।
৬. মুখে মুখে উত্তর বলি –
ক. শিমুল, বকুল,
পারুল – এদের পরিচয় কী?
উত্তরঃ শিমুল, বকুল,
পারুল এরা হলো রাজার তিনটি কন্যা। শিমুল বড় কন্যা, বকুল মেঝো কন্যা ও পারুল ছোট কন্যা।
খ. মেয়েদের কাছে রাজার প্রশ্নটা কী
ছিল?
উত্তরঃ মেয়েদের কাছে রাজার প্রশ্নটা ছিল – “কে তাঁকে কী রকম ভালোবাসে?”
গ. শিমুল ও বকুলের উত্তর শুনে রাজা
কী করলেন?
উত্তরঃ শিমুল (বড় মেয়ে),
তার উত্তর শুনে রাজা একটু মুচকি হাসলেন। বকুল (মেঝো মেয়ে), তার উত্তর শুনে রাজার মুখে আবার হাসি দেখা
গেল। মোটকথা, দুই মেয়ের উত্তর শুনে রাজা খুব খুশি হলেন।
ঘ. “তোমাকে আমি নুনের মতো ভালোবাসি”
– একথা কে বলেছিল?
উত্তরঃ “তোমাকে আমি নুনের মতো
ভালোবাসি” – এ কথাটি বলেছিল রাজার ছোট কন্যা পারুল।
ঙ. রাজা ছোট কন্যাকে কী করলেন?
উত্তরঃ রাজা তাঁর ছোট কন্যাকে বনবাসে পাঠিয়ে দিলেন।
চ. বনে রাজার মেয়েকে কারা ফলমূল এনে
দিল?
উত্তরঃ বনে রাজার মেয়েকে হরিণ, খরগোশ, ময়ূরসহ অন্যান্য পশুপাখি ফলমূল এনে দিল।
ছ. খাবার মুখে দিয়ে রাজা বিরক্ত হলেন
কেন?
উত্তরঃ নানা রকম সাজানো খাবার দেখে ক্ষুধার্ত রাজা খুশি হয়ে খেতে বসেন। সুন্দর রান্না তবে বেজায় বিস্বাদ হওয়ায় রাজা খাবার
মুখে দিয়ে ফেলে দেন। কোনো খাবারেই
লবণ দেওয়া হয়নি বলে রাজা খাবার মুখে দিয়ে বিরক্ত হলেন।
জ. তিনি কীভাবে নিজের ভুল বুঝতে পারলেন?
উত্তরঃ পারুল রাজাকে নুনের মতো ভালোবাসে বললে রাজা রাগ করে তাকে বনবাসে দেন। একদিন রাজা শিকারে গিয়ে বনের মধ্যে ক্ষুধার্ত হয়ে
পড়েন। ক্ষুধার্ত রাজার জন্য
পারুল লবন ছাড়া খাবার রান্না করে। লবণ ছাড়া
খাবার মুখে দিয়ে রাজা খুবই বিরক্ত হলেন এবং বুঝলেন রান্নায় লবণের গুরুত্ব অনেক। এভাবে রাজা নিজের ভুল বুঝতে পারলেন।
ঝ. রাজ্যে আবার সুখ এলো কেন?
উত্তরঃ বনবাস থেকে ছোট রাজকন্যা পারুলকে ফিরিয়ে নিয়ে আসায় রাজ্যে আবার সুখ ফিরে
এলো।
৭. উত্তরগুলো লিখি –
ক. কার উত্তর শুনে রাজার মুখ কালো
হয়ে গেল?
উত্তরঃ ছোট কন্যা পারুলের উত্তর শুনে রাজার মুখ কালো হয়ে গেল।
খ. বনবাস বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ বনবাস বলতে বনে বাস করার জন্য পাঠানো এক ধরনের শাস্তিকে বোঝায়।
গ. পারুলের সঙ্গে দেখা করতে কারা এলো?
উত্তরঃ পারুলের সঙ্গে দেখা করতে এলো কয়েকজন পরী ও বনের পশুপাখিরা। আরও এলো বনের হরিণ, খরগোশ ও ময়ূর।
ঘ. পারুল রান্নার সময় কোনো কিছুতে
নুন দিল না কেন?
উত্তরঃ রাজার ভুল ভাঙানোর জন্য পারুল রান্নার সময় কোনো কিছুতে নুন দিল না।
ঙ. খাবার বিস্বাদ হয়েছিল কেন?
উত্তরঃ খাবারে নুন না দেওয়ায় খাবার বিশ্বাস হয়েছিল।
চ. রাজা মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন কেন?
উত্তরঃ রাজা নুন ছাড়া খাবার খেয়ে নিজের ভুল বুঝতে পারেন। মেয়ের অকৃত্রিম ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে তিনি মেয়েকে
বুকে জড়িয়ে ধরলেন। অথবা, নিজের ভুল বুঝতে পেরে রাজা মেয়েকে বুকে জড়িয়ে
ধরলেন।
ছ. পারুল রাজ্যে ফিরে আসায় কারা খুশি
হলো?
উত্তরঃ পারুল রাজ্যে ফিরে আসায় রাজা, রানি, পারুলের বোন এবং রাজ্যের সবাই খুশি হলো।
৮. কথাগুলোর উত্তর জেনে নিই
–
ক. উজির শব্দের বদলে আমরা এখন কোন শব্দ ব্যবহার করি?
উত্তরঃ মন্ত্রী।
খ. পাইক শব্দের বদলে আমরা এখন কী বলি?
উত্তরঃ সৈন্য।
গ. হুকুম শব্দের মতো একই রকম আর কী কী শব্দ আছে?
উত্তরঃ আদেশ, নির্দেশ।
তথ্যসূত্রঃ
- বইঃ আমার বাংলা বই (তৃতীয় শ্রেণি)
- পাঠঃ রাজা ও তাঁর তিন কন্যা।
- পৃষ্ঠা – ১১, ১২ এবং ১৩
আশা করি তোমরা পুরো পোষ্টটি যত্ন সহকারে পড়েছ এবং উপকৃত হয়েছ। আর এটাই আমার সার্থকতা। পোষ্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে শেয়ার এবং কমেন্ট করতে ভুলবে না। আজ আর নয়, কথা হবে অন্য কোন দিন এবং নতুন কোন পাঠে। ঐ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকো এবং সুস্থ থাকো। আল্লাহ হাফেয।