প্রিয় শিক্ষার্থীবন্ধুরা, আশা করি ভালো আছো। আজকের এই ব্লগে আমি তোমাদের মাঝে তৃতীয় শ্রেণির “আমার বাংলা বই” বইয়ের চতুর্থ পাঠ ‘হাটে যাবো’ এর হ্যান্ডনোট শেয়ার করবো। আশা করি তোমাদের ভালো লাগবে এবং এই হ্যান্ডনোট টি ঠিকমতো আয়ত্ত্ব করতে পারলে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা সম্ভব হবে, ইনশাআল্লাহ্। তাহলে শুরু করা যাক –
আমাদের এই বাংলাদেশ এই পাঠটি পড়ে যা জানতে পারবে –
- গ্রামের হাটের কথা সম্পর্কে
- গ্রামের নদী পারাপারের কথা সম্পর্কে
- শিশুর মুখের হাসির মূল্য সম্পর্কে জানতে পারবে।
“হাটে যাবো” এর অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর –
১ – শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি –
শব্দ |
অর্থ |
নি-ঘাটা |
যেখানে ঘাট
নেই/যেখানে নৌকা ভিড়ানোর জায়গা নেই। |
কড়ি নেই কড়া
নেই |
টাকাপয়সা নেই। |
২ – ছড়াটি মুখ মুখে বলি –
হাটে যাবো
আহসান হাবীব
হাটে যাবো হাটে যাবো ঘাটে নেই নাও,
নি-ঘাটা নায়ের মাঝি আমায় নিয়ে যাও।
নিয়ে যাবো নিয়ে যাবো কতো কড়ি দেবে?
কড়ি নেই কড়া নেই আর কিবা নেবে?
সোনামুখে সোনা হাসি তার কিছু দাও।
হাসিটুকু নিও আর খুশিটুকু নিও।
৩. আমার জানা আর একটি ছড়া বলি।
উত্তরঃ তোমার জানা একটি ছড়া বল। জানা না
থাকলে নিচের ছড়াটি মুখস্থ করে নিতে পারো।
নৌকা চলে
আহমাদ ফারুক
নৌকা চলে, তাল
মিলিয়ে বৈঠা হাতে মাঝি
কোথায় যাচ্ছো? দূরের গাঁয়ে? আমিও যেতে রাজি।
নেবে আমায়? ও মাঝি
ভাই-তোমার ছোট্র নায়ে?
কী অপরূপ, ভরবে
দুচোখ – আহা দারূণ গাঁয়ে।
গাও সারিগান, ভাটিয়ালা – তোলা রঙ্গিন পালও;
যাবো ভেসে দূরের দেশে লাগবে খুবই ভালো।
৪. ছবি দেখে। ছবিতে কে কী করছে তা মুখে মুখে বলি ও তিনটি বাক্যে
লিখি।
উত্তরঃ
- নদীর পাড়ে গ্রামের বটতলায় একটি হাট বসেছে।
- ঘাটে বাঁধা নৌকা থেকে বিক্রেতারা মালামাল হাটে তুলছে।
- নানা বয়সের ক্রেতারা কেনাকাটা করছে।
তথ্যসূত্রঃ
- বইঃ আমার বাংলা বই (তৃতীয় শ্রেণি)
- পাঠঃ হাটে যাবো (ছড়া)
- পৃষ্ঠা – ১৪
আশা করি তোমরা পুরো পোষ্টটি যত্ন সহকারে পড়েছ এবং উপকৃত হয়েছ। আর এটাই আমার সার্থকতা। পোষ্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে শেয়ার এবং কমেন্ট করতে ভুলবে না। আজ আর নয়, কথা হবে অন্য কোন দিন এবং নতুন কোন পাঠে। ঐ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকো এবং সুস্থ থাকো। আল্লাহ হাফেয।