প্রিয় শিক্ষার্থীবন্ধুরা, আশা করি ভালো আছো। আজকের এই ব্লগে আমি তোমাদের মাঝে তৃতীয় শ্রেণির “প্রাথমিক বিজ্ঞান” বইয়ের তৃতীয় পাঠ ‘বিভিন্ন ধরনের পদার্থ’ এর হ্যান্ডনোট শেয়ার করবো। আশা করি তোমাদের ভালো লাগবে এবং এই হ্যান্ডনোট টি ঠিকমতো আয়ত্ত্ব করতে পারলে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা সম্ভব হবে, ইনশাআল্লাহ্। তাহলে শুরু করা যাক –
এই অধ্যায়ের আলোচ্য বিষয় –
আমাদের চারপাশে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পদার্থ। এসব পদার্থ তিনটি অবস্থায় থাকে। এ তিনটি অবস্থা হলো – কঠিন, তরল ও বায়বীয়।
- কঠিন পদার্থ হচ্ছে – এই পদার্থের নির্দিষ্ট আকার, আয়তন ও ওজন রয়েছে। যেমন – বই, পেনসিল, মার্বেল, ইট ইত্যাদি।
- তরল পদার্থ হচ্ছে – এই পাদার্থের নির্দিষ্ট ওজন ও আয়তন রয়েছে কিন্তু নির্দিষ্ট আকার নেই। যে পাত্রে রাখা হয়ে সেই পাত্রের আকার ধারন করে। যেমন – পানি, শরবত, দুধ, তেল ইত্যাদি।
- বায়বীয় পদার্থ হচ্ছে - এই পদার্থের নির্দিষ্ট কোনো আয়তন এবং আকার নেই। বদ্ধ পাত্রে রাখলে পাত্রের পুরো জায়গা দখল করে থাকে। যেমন – বায়ু এবং জলীয় বাস্প বায়বীয় পদার্থ।
পাঠ্যবইয়ে দেওয়া প্রশ্ন ও কাজগুলোর সমাধান –
প্রশ্নঃ জিনিসগুলো কী দিয়ে
তৈরি? (পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা নং
- ১৬)
উত্তরঃ পাঠ্যবইয়ে উল্লিখিত
জিনিসগুলো কোনো না কোনো পদার্থ দিয়ে তৈরি।
কাজঃ জিনিসগুলো তৈরির উপাদান। (পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা নং - ১৬)
সমাধানঃ পাঠ্যবইয়ে নির্দেশনা
অনুযায়ী নিচের ছকে আমার শ্রেণিকক্ষের ভেতরের ও বাইরের বিভিন্ন জিনিসের তালিকা নিচে
দেওয়া হলো –
জিনিসের নাম |
কী দিয়ে তৈরি |
বেঞ্চ |
কাঠ, তারকাটা/পেরেক |
টেবিল |
কাঠ, তারকাটা/পেরেক |
চেয়ার |
কাঠ, তারকাটা/পেরেক |
ব্ল্যাকবোর্ড |
ইট, সিমেন্ট,
কাঠ |
ঘরবাড়ি |
ইট, সিমেন্ট, টিন, পেরেক |
রাস্তা |
ইট, পাথর,
বালু, পিচ |
অতঃপর আমার কাজ নিয়ে আমার
সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করলাম।
কাজঃ পানির অবস্থার পরিবর্তন। (পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা নং - ১৮)
সমাধানঃ পাঠ্যবইয়ের নির্দেশনা
অনুযায়ী ছক এঁকে আমি যা দেখলাম তা ছকে লিখলাম –
যা লক্ষ করলাম |
আমি যা দেখেছি তার ছবি |
কেতলির নলের মুখ |
[কেটলির ছবি] পানির বাস্পে পরিণত হওয়ায় সময় নলের মুখে ধোঁয়া। |
চামচের গা |
[চামচের ছবি]চামচের গায়ে
ছোট ছোট পানির কণা। |
আলোচনা – (পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা নং - ১৮)
ক. কেতলির নলের মুখে ধোঁয়ার মতো অংশে জলীয় বাস্প
আছে।
খ. কারণ পানিকে তাপ দিকে জলীয় বাস্প হয়ে ধোঁয়ার
মতো আকার ধারণ করে।
অতঃপর আমার কাজ নিয়ে আমার
সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করলাম।
আলোচনা - (পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা নং - ২০)
উত্তরঃ কঠিন, তরল এবং বায়বীয় পদার্থের দুইটি করে নাম নিচে
ছকে লেখা হলো –
কঠিন |
তরল |
বায়বীয় |
বরফ, ইট |
পানি, তেল |
বায়ু, জলীয় বাস্প |
অতঃপর আমার কাজ নিয়ে আমার
সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করলাম।
“বিভিন্ন
ধরনের পদার্থ” এর অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর –
১. শূন্যস্থান পূরণ কর –
১. বরফ হচ্ছে পানির কঠিন
অবস্থা।
২. পানি অনেক বেশি ঠান্ডা
হলে বরফে পরিণত হয়।
৩. পানিকে তাপ দিলে
জলীয় বাস্পে পরিণত হয়।
৪. সকল জিনিস পদার্থ
দিয়ে তৈরি।
২. সঠিক উত্তরটিতে টিক (✔) চিহ্ন দাও –
১. কোনটি কঠিন পদার্থ?
✔ আইসক্রিম।
২. কোনটি তরল পদার্থ?
✔ তেল।
৩. নিচের প্রশ্নগুলো উত্তর দাও
–
প্রশ্ন-১ । পানির তিনটি অবস্থার নাম কী?
উত্তরঃ পানির তিনটি অবস্থার নাম হলো – কঠিন, তরল ও বায়বীয়।
প্রশ্ন-২ । পদার্থ কী ব্যাখ্যা কর?
উত্তরঃ যা জায়গা দখল করে এবং যার ওজন আছে তাঁকে পদার্থ বলে। সকল পদার্থের কিছু সাধারণ ধর্ম আছে। এগুলো হলো – আকার, আকৃতি ও আয়তন। পৃথিবীর সবকিছুই কোনো না কোনো পদার্থ দিয়ে তৈরি। যেমন – পানি, শরবত, দুধ, চেয়ার, পাথর, ইট, বায়ু, জলীয় বাস্প ইত্যাদি।
প্রশ্ন-৩ । কঠিন এবং তরল পদার্থের মধ্যে দুইটি পার্থক্য লেখ।
উত্তরঃ কঠিন ও তরলের মধ্যে দুইটি পার্থক্য হলো –
কঠিন |
তরল |
১. কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন ও আকার থাকে। |
১. তরল পদার্থের আয়তন আছে কিন্তু নির্দিষ্ট আকার থাকে না। |
২. এটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গা দখল করে। |
২. এটি যখন যে পাত্রে রাখা হয়ে সেই পাত্রের আকার ধারণ করে। |
প্রশ্ন-৪। বায়বীয় পদার্থের দুইটি বৈশিষ্ট্য লেখ?
উত্তরঃ বায়বীয় পদার্থের দুইটি বৈশিষ্ট্য হলো –
১. এই পদার্থের নির্দিষ্ট কোনো আয়তন
এবং আকার নেই।
২. এটি পাত্রের পুরো জায়গা দখল করে।
প্রশ্ন-৫। পাঁচটি তরল পদার্থের নাম লেখ।
উত্তরঃ পাঁচটি তরল পদার্থের নাম নিচে দেওয়া হলো – পানি, শরবত, দুধ,
তেল, ফলের রস।
৪. বামপাশের বাক্যের সাথে ডানপাশের
শব্দের মিল কর –
উত্তরঃ
- যে পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন এবং আকার থাকে কঠিন পদার্থ।
- যে পদার্থ একটি বদ্ধ পাত্রের পুরো জায়গা দখল করে বায়বীয় পদার্থ।
- যে পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন আছে কিন্তু নির্দিষ্ট আকার নেই তরল পদার্থ।
- জলীয়বাস্প একটি বায়বীয় পদার্থ।
তথ্যসূত্রঃ
- বইঃ প্রাথমিক বিজ্ঞান (তৃতীয় শ্রেণি)
- পাঠঃ বিভিন্ন ধরনের পদার্থ (অধ্যায় - ৩)
- পৃষ্ঠা – ১৬ থেকে ২১
আশা করি তোমরা পুরো পোষ্টটি যত্ন সহকারে পড়েছ এবং উপকৃত হয়েছ। আর এটাই আমার সার্থকতা। পোষ্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে শেয়ার এবং কমেন্ট করতে ভুলবে না। আজ আর নয়, কথা হবে অন্য কোন দিন এবং নতুন কোন পাঠে। ঐ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকো এবং সুস্থ থাকো। আল্লাহ হাফেয।