প্রিয় শিক্ষার্থীবন্ধুরা, আশা করি ভালো আছো। আজকের এই ব্লগে আমি তোমাদের মাঝে তৃতীয় শ্রেণির “আমার বাংলা বই” বইয়ের সপ্তম পাঠ ‘কুঁজো বুড়ির গল্প’ এর হ্যান্ডনোট শেয়ার করবো। আশা করি তোমাদের ভালো লাগবে এবং এই হ্যান্ডনোট টি ঠিকমতো আয়ত্ত্ব করতে পারলে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা সম্ভব হবে, ইনশাআল্লাহ্। তাহলে শুরু করা যাক –
“কুঁজো বুড়ির গল্প” এর পাঠসংক্ষেপ –
কুঁজো বুড়ি নাতনির বাড়ি যাওয়ার সময় বাঘ ও শিয়াল তাকে খেতে চাইল। বুড়ি কৌশল করে বলল যে, নাতনির বাড়িতে খেয়েদেয়ে মোটাতাজা হয়ে ফেরার
পথে তাকে খাওয়ার কথা জন্য। নাতনির
বাড়িতে খেয়ে সে বেশ মোটা হয়েছে। বাড়ি ফেরার
সময় নাতনি বড় এক লাউয়ের মাঝে ঢুকিয়ে জোরে ধাক্কা দিলে বুড়ি গড়িয়ে গড়িয়ে চলতে লাগল। বাঘ বুঝতে না পারলেও শিয়াল বুঝতে পেরে খেতে চাই
বুড়িকে। বুড়ি উঁচু ঢিবিতে উঠে
পোষা কুকুরগুলোকে ডাকলে তারা এসে শিয়ালকে ক্ষতবিক্ষত করে বুড়িকে বাঁচাল।
“কুঁজো বুড়ির গল্প” এর
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর –
১ – শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি –
শব্দ |
অর্থ |
কুঁজো |
যার পিঠ বাঁকা ও
ফোলা |
খিদে |
ক্ষুধা |
মুশকিল |
অসুবিধা |
এক্ষুনি |
এখনি / একটুও দেরিতে নয় |
তক্ষুনি |
তখনই |
নাস্তানাবুদ |
নাজেহাল |
২ – ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায়
বসিয়ে বাক্য তৈরি কর –
নাস্তানাবুদ |
এক্ষুনি |
তক্ষুনি |
মুশকিল |
খিদে |
ক. ফুলির খুব খিদে পেয়েছে।
খ. আমাকে এক্ষুনি যেতে হবে।
গ. কাজটা করতে গেলে মুশকিল হবে।
ঘ. কাজটা তক্ষুনি করে ফেললে ভালো হতো।
ঙ. কুকুরগুলো শিয়ালটাকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়ল।
৩. যুক্তবর্ণ চিনে নেই। যুক্তবর্ণ দিয়ে তৈরি করা নতুন শব্দ পড়ি –
আচ্ছা |
চ্ছ |
চ |
ছ |
খাচ্ছে, ইচ্ছা |
ধাক্কা |
ক্ক |
ক |
ক |
ছক্কা, এক্কা |
৪. ঠিক উত্তরটি বাছাই করে বলে ও লিখি
–
ক. কুঁজো বুড়ি বাড়ি পাহারা দিতে কাদের
বলল?
উত্তরঃ কুকুর তিনটিকে।
খ. বিপদ দেখে বুড়ি শিয়ালকে বলেছিলেন,
“আগে নাতনির বাড়ি যাই। খেয়েদেয়ে মোটাতাজা হয়ে আসি”। এ কথায় বুড়ির কিসের
পরিচয় পাওয়া যায়?
উত্তরঃ বুদ্ধির।
গ. বুড়ির তিনটি কুকুর নিমিষেই ছুটে
এলো কেন?
উত্তরঃ গানের সুরে বুড়ির চিৎকার শুনে।
ঘ. নাতনি বুড়িকে লাউয়ের খোলে ঢুকিয়ে
সঙ্গে কী কী খাবার দিল?
উত্তরঃ চিঁড়ে আর গুড়।
৫. মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি
–
ক. বুড়ির কয়টি কুকুর ছিল? তাদের নাম কী?
উত্তরঃ বুড়ির তিনটি কুকুর ছিল। তাদের নাম
রঙ্গা, বঙ্গা ও ভুতু।
খ. বুড়ি কোথায় যাচ্ছিলেন?
উত্তরঃ বুড়ি নাতনির বাড়ি যাচ্ছিলেন।
গ. কুকুর তিনটিকে বুড়ি কী বলে গেলেন?
উত্তরঃ কুকুর তিনটিকে বুড়ি বলে গেলেন, তোরা বাড়ি পাহারা দে। আমি নাতনিকে
দেখে আসি।
ঘ. বুড়ি শিয়ালকে কী বললেন?
উত্তরঃ বুড়ি শিয়ালকে বললেন, আমাকে
খেয়ো না। নাতনির বাড়ি থেকে খেয়েদেয়ে
মোটা-তাজা হয়ে আসি তখন আমাকে খেয়ো।
ঙ. বুড়ি বাঘকে কী বললেন?
উত্তরঃ বুড়ি শিয়ালের কাছে যা বলেছিলেন বাঘকে তাই বললেন, আমাকে এখন খেয়ো না। নাতনির বাড়ি থেকে খেয়েদেয়ে মোটা-তাজা হয়ে আসি তখন আমাকে খেয়ো।
চ. নাতনির বাড়িতে গিয়ে বুড়ি মোটা হলেন
কীভাবে?
উত্তরঃ নাতনির বাড়িতে মজার মজার খাবার খেয়ে বুড়ি মোটা হলেন।
ছ. নাতনি বুড়িকে কী রকম পাঠাল?
উত্তরঃ নাতনি বুড়িকে লাউয়ের খোলের ভেতরে ঢুকিয়ে কিছু চিঁড়া আর গুড় সঙ্গে দিল। তারপর খোলটাকে জোরে ধাক্কা দিয়ে পাঠিয়ে দিল।
জ. বাড়ির ফেরার পথে কার কার সঙ্গে
বুড়ির দেখা হলো?
উত্তরঃ বাড়ি ফেরার পথে বাঘ ও শেয়ালের সাথে বুড়ির দেখা হলো।
ঝ. বুড়ি কীভাবে প্রানীদের থেকে বাঁচলেন?
উত্তরঃ বুড়ি তার বুদ্ধির কৌশলে পাণীদের থেকে বাঁচলেন। লাউয়ের খোলে থাকায় বুড়ি বাঘের থেকে বাঁচলেন। আর শিয়াল লাউয়ের খোলের ভিতর বুড়িকে দেখে ফেললে বুড়ি
বুদ্ধি খাটিয়ে তার শেষ ইচ্ছা পূরণের জন্য শিয়ালের কাছে গান শুনতে চাইলেন। শিয়াল গান শুরু করলে বুড়িও সাথে যোগ দিলেন এবং তার
গানের কথায় কুকুরগুলোকে ডাকতে লাগলেন কুকুরগুলো তক্ষুনি ছুটে এসে শিয়ালের নাস্তানাবুদ
অবস্থা করল।
৬. বাক্যগুলো পড়ি। বাক্যের শেষে দাঁড়ি এবং প্রশ্নচিহ্ন বসাই –
ক. আমার গায়ে কি মাংস আছে |
? |
খ. সে আজ বাড়িতে যাবে |
। |
গ. সে ফিরবে কীভাবে |
? |
ঘ. ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী |
। |
ঙ. ভিতরে কী আছে |
? |
চ. আমরা আমাদের দেশকে ভালোবাসি |
। |
ছ. কুকুর তিনটি কী করল |
? |
প্রশ্নচিহ্ন বাক্যে কিছু জানার ভাব বা জানার ইচ্ছা বোঝায়। এগুলোকে প্রশ্নবাক্য
বলে। এ ধরনের বাক্যের শেষে প্রশ্নচিহ্ন (?) বসে। |
৭. উত্তরঃ গল্পটি ভালোভাবে পড়ে নিজে
বলার চেষ্টা কর।
৮. গল্পটি ভালোভাবে পড়ে শ্রেণিশিক্ষকের
সহায়তায় অভিনয় করার চেষ্টা কর।
৯. পোষা প্রাণী সম্পর্কে তিনটি বাক্য
লিখি –
- আমার একটি পোষা ময়না আছে।
- তার নাম টিনু।
- আমাদের বাড়িতে কেউ এলে টিনু সালাম দেয়।
১০. ছবি দেখে গল্প বলি ও তিনটি বাক্য
লিখি।
উত্তরঃ
- মেয়েটির নাম মিতু
- তার দুটি প্রিয় খরগোশ আছে।
- খরগোশ দুটি তাকে ছাড়া কোথাও যায় না।
তথ্যসূত্রঃ
- বইঃ আমার বাংলা বই (তৃতীয় শ্রেণি)
- পাঠঃ কুঁজো বুড়ির গল্প।
- পৃষ্ঠা – ৩২ থেকে ৩৭
আশা করি তোমরা পুরো পোষ্টটি যত্ন সহকারে পড়েছ এবং উপকৃত হয়েছ। আর এটাই আমার সার্থকতা। পোষ্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে শেয়ার এবং কমেন্ট করতে ভুলবে না। আজ আর নয়, কথা হবে অন্য কোন দিন এবং নতুন কোন পাঠে। ঐ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকো এবং সুস্থ থাকো। আল্লাহ হাফেয।