প্রিয় শিক্ষার্থীবন্ধুরা, আশা করি ভালো আছো। আজকের এই ব্লগে আমি তোমাদের মাঝে তৃতীয় শ্রেণির “আমার বাংলা বই” বইয়ের দশম পাঠ ‘একাই একটা দুর্গ’ এর হ্যান্ডনোট শেয়ার করবো। আশা করি তোমাদের ভালো লাগবে এবং এই হ্যান্ডনোট টি ঠিকমতো আয়ত্ত্ব করতে পারলে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা সম্ভব হবে, ইনশাআল্লাহ্। তাহলে শুরু করা যাক –
“একাই একটা দুর্গ” এর পাঠসংক্ষেপ –
সিপাহী মোস্তফা কামালের চোখে ছিল মুক্তির স্বপ্ন। মাত্র চব্বিশ বছর বয়সি সাহসী যুবক মোস্তফা কামাল
মাত্র দশ জন সৈন্য নিয়ে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার দরুইন গ্রামে পাকিস্তানি অনেক সৈন্যের সাথে
লড়াই চালিয়ে গেলেন। দিনটি ছিল ১৮ ই এপ্রিল, ১৯৭১ একে একে নয়জন মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হন। হঠাৎ একটা গোলা পরিখার মধ্যে পড়লে মোস্তফা কামালের
শরীর ঝাঁঝরা হয়ে যায়। তিনি মৃত্যুর
কোলে ঢলে পড়েন। তাঁর আত্মত্যাগের কথা
দেশবাসী চিরদিন মনে রাখবে।
“একাই একটা দুর্গ” এর
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর –
১ – শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি –
শব্দ |
অর্থ |
অধিনায়ক |
দলপতি, দলনেতা। |
অকুতোভয় |
ভয় নেই এমন। |
আত্মদান |
অন্যের উপকারার্থে
নিজের জীবন দান। |
নির্বিঘ্নে |
নিরাপদে, বাধাহীনভাবে। |
বীরশ্রেষ্ট |
মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের
জন্য দেওয়া বিশেষ উপাধি। |
সমাহিত |
কবরে শায়িত। |
গোলা |
গোল আকৃতি বিশিষ্ট
পদার্থ। |
পরিখা |
শত্রুর আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য মাটির
মধ্যে তৈরি গর্ত। |
ভূষিত |
অলংকৃত, সজ্জিত। |
২ – ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায়
বসিয়ে বাক্য তৈরি কর –
পরিখার |
বীরশ্রেষ্ট |
অধিনায়ক |
অকুতোভয় |
সমাহিত |
নির্বিঘ্নে |
ক. যাত্রীরা নির্বিঘ্নে
নদী পার হলো।
খ. অধিনায়ক লড়াই চালিয়ে যেতে বললেন।
গ. মোস্তফা কামাল একজন বীরশ্রেষ্ঠ।
ঘ. সৈন্যরা পরিখার ভিতর
থেকে গুলি ছুড়ছে।
ঙ. মোস্তফা কামালকে দরুইনে সমাহিত
করা হয়।
চ. তিনি একজন অকুতোভয়
মুক্তিযোদ্ধা।
৩ - পাঠ অনুসরণ করে নিচের ঘটনার পাশে
তারিখবাচক শব্দ লিখি –
ক. পাকিস্তানি বাহিনী আখাউড়া রেললাইন
ধরে এগোয় ১৯৭১ সালের ১৬ই এপ্রিল।
খ. দরুইন গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের উপর
গোলাবর্ষণ হয় ১৭ই এপ্রিল, ১৯৭১।
গ. মোস্তফা কামাল শহিদ হলেন ১৮ই
এপ্রিল, ১৯৭১।
৪ – আমাদের জাতীয় দিবসগুলোর পাশে তারিখবাচক
শব্দ লিখি।
ক. আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১
শে ফেব্রুয়ারী।
খ. স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ।
গ. বিজয় দিবস ১৬ই ডিসেম্বর।
৫ – ঠিক উত্তরটি বাছাই করে বলি ও লিখি।
ক. মোস্তফা কামাল সমাহিত আছেন
–
👉 দরুইন।
খ. এই যুদ্ধে কতজন মুক্তিযোদ্ধা শহিদ
হয়েছেন?
👉 নয়জন
গ. পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা এগিয়ে
আসছিল –
👉 ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার দিকে
ঘ. ১৮ই এপ্রিল কয়টার সময় প্রচন্ড বৃষ্টি
হলো?
👉 বেলা এগারোটায়
৬ – প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।
প্রশ্ন-কঃ কারা ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার
দিকে এগিয়ে আসছিল?
উত্তরঃ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার দিকে এগিয়ে আসছিল।
প্রশ্ন-খঃ মুক্তিযোদ্ধারা কোথায়
অবস্থান নিয়েছিলেন?
উত্তরঃ মুক্তিযোদ্ধারা দরুইন গ্রামে অবস্থান নিয়েছিলেন।
প্রশ্ন-গঃ মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে
কোন দুইটি পথ খোলা ছিল?
উত্তরঃ মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে দুইটি পথ খোলা ছিল। ১. সামনা সামনি যুদ্ধ করতে হবে। ২. না হয় পিছু
হটতে হবে।
প্রশ্ন-ঘঃ সঙ্গীদের জীবন বাঁচাতে
মোস্তফা কামাল কী সিদ্ধান্ত নিলেন?
উত্তরঃ সঙ্গীদের জীবন বাঁচাতে মোস্তফা কামাল সবাইকে সরে যেতে বললেন এবং একাই গুলি
চালিয়ে গেলেন।
প্রশ্ন-ঙঃ একাই একটি দুর্গ
– কাকে বোঝানো হয়েছে? কেন?
উত্তরঃ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন বলে মোস্তফা কামালকে ‘একাই একটি দুর্গ’ বোঝানো
হয়েছে। তিনি সঙ্গীদের জীবন
বাঁচাতে অনবরত গুলি চালিয়ে যান। তার গুলির
তোড়ে শত্রুরা এগিয়ে আসতে পারেনি। তিনি একাই
যে মুক্তিবাহিনীর দুর্গে পরিণত হয়েছেন।
৭ – বিপরীত শব্দ জেনে নিই। ফাঁকা ঘরে ঠিক শব্দ বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
জীবন |
মৃত্যু |
|
শত্রু |
মিত্র |
|
কম |
অনেক |
|
হালকা |
ভারী |
|
বন্ধ |
খোলা |
ক. আমাদের দেশে অনেক নদী আছে।
খ. মুক্তিযুদ্ধে অনেকেই জীবন
দিয়েছেন।
গ. পাকিস্তানি সেনাদের সাথে ছিল ভারী
অস্ত্রশস্ত্র।
ঘ. শত্রু বাহিনী গোলাবর্ষণ শুরু করল।
ঙ. শুক্রবার আমাদের স্কুল বন্ধ
থাকে।
৮ – বাক্যগুলো পড়ি। হাঁ বোঝানো এবং না বোঝানো বাক্য সম্পর্কে জেনে নিই।
- ওদের মোকাবিলা করা যাবে। - [হাঁ বোঝানো]
- ওদের মোকাবিলা করা যাবে না। - [না বোঝানো]
- এবার নিচের বাক্যগুলোকে হাঁ বোঝানো / না বোঝানো বাক্যে পরিবর্তন করি।
উত্তরঃ
- সকালে গোলাবর্ষণ শুরু হলো। - না বোঝানো বাক্য
- শত্রুরা এগোতে পারল। - হাঁ বোঝানো বাক্য
- মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটবে না। - না বোঝানো বাক্য
তথ্যসূত্রঃ
- বইঃ আমার বাংলা বই (তৃতীয় শ্রেণি)
- পাঠঃ একাই একটা দুর্গ
- পৃষ্ঠা – ৪২ থেকে ৪৭
আশা করি তোমরা পুরো পোষ্টটি যত্ন সহকারে পড়েছ এবং উপকৃত হয়েছ। আর এটাই আমার সার্থকতা। পোষ্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে শেয়ার এবং কমেন্ট করতে ভুলবে না। আজ আর নয়, কথা হবে অন্য কোন দিন এবং নতুন কোন পাঠে। ঐ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকো এবং সুস্থ থাকো। আল্লাহ হাফেয।