প্রিয় শিক্ষার্থীবন্ধুরা, আশা করি ভালো আছো। আজকের এই ব্লগে আমি তোমাদের মাঝে তৃতীয় শ্রেণির “আমার বাংলা বই” বইয়ের দ্বাদশ পাঠ ‘পাখিদের কথা’ এর হ্যান্ডনোট শেয়ার করবো। আশা করি তোমাদের ভালো লাগবে এবং এই হ্যান্ডনোট টি ঠিকমতো আয়ত্ত্ব করতে পারলে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা সম্ভব হবে, ইনশাআল্লাহ্। তাহলে শুরু করা যাক –
“পাখিদের কথা” এর পাঠসংক্ষেপ –
আমাদের বাড়ির চারদিকের গাছপালায় বাস করে নানা প্রকার পাখী। পাখির নানা সুরের গানে আমাদের ঘুম ভাঙে। এসব পাখির মাঝে উল্লেখযোগ্য পাখি হলো – দোয়েল, ঘুঘু, ডাহুক, চড়ুই, শালিক, বক, খঞ্জনা, শ্যামা, ময়না, টিয়া, কোকিল ইত্যাদি। বসন্তে আমাদের দেশে কোকিলের সুরেলা গানে মন মুগ্ধ হয়ে যায়। তাছাড়া পাখি ক্ষতিকর অনেক পোকামাকড় খেয়ে আমাদের উপকার আসে। তারা আমাদের বন্ধু, তাদের রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।
“পাখিদের কথা” এর
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর –
১ – শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি –
শব্দ |
অর্থ |
প্রতিবেশী |
পড়শি, কাছাকাছি বসবাস করে যারা। |
পালক |
পাখির শরীর বা পাখার আবরণ। |
পোঁচ |
মাখানো, লেপা। |
চঞ্চল |
স্থির নয় যা। |
ছোপ |
দাগ, রং |
ঝুঁটি |
খোঁপা, মাথার উপরে গোছা করে বাঁধা চুল। |
শখ |
পছন্দ, আগ্রহ। |
ঝাঁক |
পাখি, মাছ, মাছি ইত্যাদির দল বা পাল। |
তাঁতি |
কাপড় বোনে যে। |
স্থির |
অবিচল, দৃঢ়। |
২ – ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায়
বসিয়ে বাক্য তৈরি কর –
প্রতিবেশী |
শখ |
তাঁতিরা |
ঝাঁক |
ঝুঁটি |
পালক |
পোঁচ |
ক. বকের পালক সাদা।
খ. শীলা চাচি আমাদের প্রতিবেশী।
গ. গরমে মেয়েরা ঝুঁটি
করে চুল বাঁধে।
ঘ. সাঁঝের আকাশে অনেক রঙের পোঁচ।
ঙ. তাঁতিরা খুব সুন্দর শাড়ি বোনে।
চ. বন্ধুদের ছবি জমানো রবির শখ।
ছ. এক ঝাঁক পাখি উড়ছে।
৩ – মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি।
প্রশ্ন-কঃ কোন কোন পাখি গান গাইতে
পারে?
উত্তরঃ দোয়েল, ময়না,
কোকিল ও বুলবুলি পাখি গান গাইতে পারে।
প্রশ্ন-খঃ মানুষের কথা নকল করতে
পারে কোন কোন পাখি?
উত্তরঃ মানুষের কথা নকল করতে পারে ময়না, টিয়া ও শালিক পাখি।
প্রশ্ন-গঃ কোন কোন পাখিকে ছোট
পাখি বলা হয়?
উত্তরঃ টুনটুনি, চড়ুই,
বাবুই পাখিকে ছোট পাখি বলা হয়।
প্রশ্ন-ঘঃ তাঁতি পাখি কোনটি?
এদের তাঁতি পাখি বলা হয় কেন?
উত্তরঃ বাবুই পাখি তাঁতি পাখি। এরা ঠোঁট
দিয়ে তাঁতিদের মতো বাসা বুনতে পারে, তাই এদের তাঁতি পাখি বলা হয়।
প্রশ্ন-ঙঃ আমাদের জাতীয় পাখির
নাম কী?
উত্তরঃ আমাদের জাতীয় পাখির নাম দোয়েল পাখি।
প্রশ্ন-চঃ কোকিল কোন সময় ডাকে?
উত্তরঃ কোকিল বসন্তকালে ডাকে।
প্রশ্ন-ছঃ টুনটুনিকে চঞ্ছল পাখি
বলা হয় কেন?
উত্তরঃ টুনটুনি বেশ চঞ্চল এবং কোথাও স্থির হয়ে বসে না। এরা ছোট ছোট গাছে নেচে বেড়ায়। তাই টুনটুনিকে চঞ্চল পাখি বলা হয়।
৪ – যুক্তবর্ণগুলো চিনে নিই। যুক্তবর্ণ দিয়ে তৈরি করা নতুন শব্দ পড়ি।
কন্ঠ |
ণ্ঠ |
ণ |
ঠ |
গুণ্ঠন, কুন্ঠা |
|
উজ্জ্বল |
জ্জ্ব |
জ |
জ |
ব |
প্রোজ্জ্বল, সমুজ্জ্বল |
লম্বা |
ম্ব |
ম |
ব |
খাম্বা, কম্বল |
|
ছোট্র |
ট্র |
ট |
ট |
ভুট্রা, বাট্রা |
|
চঞ্চল |
ঞ্চ |
ঞ |
চ |
অঞ্চল, কাঞ্চন |
|
খঞ্জনা |
ঞ্জ |
ঞ |
জ |
অঞ্জন, গঞ্জ |
|
শঙ্খচিল |
ঙ্খ |
ঙ |
খ |
শৃঙ্খলা, মূয়রপঙ্খী |
|
৫ – ঠিক উত্তরটি বাছাই করে বলি ও লিখি।
ক. গান গাইতে পারে কোন পাখি?
✔ ময়না।
খ. ঝাঁক বেঁধে চলে কোন সারির পাখিরা?
✔ কাক, টিয়া, শালিক।
গ. কোন সারির সব শব্দের অর্থ এক?
✔ ঝাঁক, পাল, দল।
ঘ. পাখিদের আমরা রক্ষা করব। কারণ –
✔ পাখিরা আমাদের উপকার করে।
৬ – বাক্যগুলো পড়ি। ঠিক জায়গায় কমা, দাঁড়ি ও প্রশ্নচিহ্ন বসিয়ে খাতায় লিখি।
উত্তরঃ
ক. আমাদের দেশে আছে কত রকমের পাখি।
খ. আর কত যে তাদের নাম।
গ. মিষ্টি সুরে গান করে কোকিল, ময়না ও দোয়েল।
ঘ. রবি, আমি অনেক পাখি দেখেছি।
ঙ. মাছারাঙার পিঠের রং গাঢ় বাদামি, পালক উজ্জ্বল নীল।
চ. তুমি কী কী পাখি দেখেছ?
৭ – শব্দ আছে পাতায় পাতায়। ঠিক শব্দ খুঁজে বের করি। নিচের খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
ক. টিয়া সবুজ রঙের পাখি।
খ. দোয়েল নরম সুরে শিস দেয়।
গ. মিষ্টি সুরে গান গায় দোয়েল ও ময়না।
ঘ. মাথার সামনে ঝুঁটি আছে বুলবুলি পাখির।
ঙ. সবচেয়ে ছোট পাখি টুনটুনি।
চ. বাবুই হচ্ছে শিল্পী পাখি।
৮ – শব্দগুলো ভালোভাবে দেখি। এগুলো পাখিদের রং ও গুণের কথা বোঝচ্ছে। শব্দগুলো দিয়ে বাক্য লিখি।
সবুজ |
তাঁতি |
ছোট্র |
নরম |
সুন্দর |
উত্তরঃ
সবুজ – আমাদের খেলার মাঠটি সবুজ ঘাসে ভরা।
তাঁতি – বাবুইকে তাঁতি পাখি বলা হয়।
ছোট্র – চড়ুই একটি ছোট্র পাখি।
নরম – বিড়াল নরম বিছানা পছন্দ করে।
সুন্দর – টিয়া একটি সুন্দর পাখি।
৯ – ছবি দেখি- পাখি সম্পর্কে দুইটি করে বাক্য লিখি –
✔ মাছরাঙা একটি সুন্দর পাখি। পানিতে ঝাঁপ দিয়ে এরা দুই ঠোটে মাছ তুলে এনে খায়।
✔ ছোট্র পাখি দোয়েল দেশের সব জায়গায় দেখা যায়। দোয়েল আমাদের জাতীয় পাখি।
✔ ময়না দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি মিষ্টি তার গান। মানুষের কথা অবিকল নকল করতে পারে ময়না।
তথ্যসূত্রঃ
- বইঃ আমার বাংলা বই (তৃতীয় শ্রেণি)
- পাঠঃ পাখিদের কথা
- পৃষ্ঠা – ৫২ থেকে ৫৮
আশা করি তোমরা পুরো পোষ্টটি যত্ন সহকারে পড়েছ এবং উপকৃত হয়েছ। আর এটাই আমার সার্থকতা। পোষ্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে শেয়ার এবং কমেন্ট করতে ভুলবে না। আজ আর নয়, কথা হবে অন্য কোন দিন এবং নতুন কোন পাঠে। ঐ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকো এবং সুস্থ থাকো। আল্লাহ হাফেয।