প্রিয় শিক্ষার্থীবন্ধুরা, আশা করি ভালো আছো। আজকের এই ব্লগে আমি তোমাদের মাঝে তৃতীয় শ্রেণির “প্রাথমিক বিজ্ঞান” বইয়ের অষ্টম পাঠ ‘স্বাস্থ্যবিধি’ এর হ্যান্ডনোট শেয়ার করবো। আশা করি তোমাদের ভালো লাগবে এবং এই হ্যান্ডনোট টি ঠিকমতো আয়ত্ত্ব করতে পারলে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা সম্ভব হবে, ইনশাআল্লাহ্। তাহলে শুরু করা যাক –
এই অধ্যায়ের আলোচ্য বিষয় –
আমাদের চারপাশে অসংখ্য জীবাণু ছড়িয়ে আছে। এসব রোগজীবাণু সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে হলে সুষম
খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। স্বাস্থ্য
রক্ষার জন্য শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ পরিষ্কার – পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ঘরবাড়ি
ও বিদ্যালয় পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বিভিন্ন
কারণে যেসব রোগ হয়, তা জন্তে
হবে। কতিপয় স্বাস্থ্যবিধি
পালন করলে অতি সহজেই রোগমুক্ত থাকা যায়।
পাঠ্যবইয়ে দেওয়া প্রশ্ন ও কাজগুলোর সমাধান –
কাজঃ আমরা কীভাবে সুস্থ থাকতে পারি? (পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা নং - ৫৪)
১. দেহ সুস্থ রাখার জন্য তুমি কী কী
কর তার তালিকে তৈরি কর।
সমাধানঃ দেহকে সুস্থ রাখার জন্য আমি যা যা করি তার একটি তালিকা তৈরি করলাম –
১. সুষম খাদ্য খাই।
২. পরিমিত ব্যায়াম ও খেলাধুলা করি।
৩. পরিমিত পরিমাণে ঘুমাই।
৪. নিরাপদ পানি পান করি।
৫. প্রয়োজনীয় পরিমাণ বিশ্রাম নিই।
২. তোমার কাজ নিয়ে সহপাঠীদের সাথে
আলোচনা কর।
সমাধানঃ আমার কাজ নিয়ে সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করলাম। আলোচনা করে বুঝলাম আমরা কীভাবে সুস্থ থাকতে পারি
এবং সুস্থ রাখার জন্য যা যা করার দরকার তার একটি তালিকা তৈরি রাখলাম।
৩. দেহ সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন
কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে তার তালিকা তৈরি কর।
সমাধানঃ দেহ সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন যেসব নিয়ম মেনে চলতে হবে তার একটি নিচে
তৈরি করা হলো –
১. সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
২. নিরাপদ পানি পান করতে হবে।
৩. সঠিক সময়ে খাবার খেতে হবে।
৪. প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিতে হবে।
৫. প্রয়োজনীয় পরিমাণে ঘুমাতে হবে।
কাজঃ রোগ প্রতিরোধের জন্য ভালো অভ্যাস। (পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা নং -
৫৫)
সমাধানঃ
১. উপরে দেখানো ছকের মতো আমার খাতায়
একটি ছক তৈরি করলাম।
২. ছকে আমার ভেলো অভ্যাসগুলো লিখলাম।
৩. আমার সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করে
রোগ থেকে বাঁচার জন্য কিছু নিয়ম তৈরি করলাম –
১. নিয়মিত গোসল করা। |
২. নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা। |
৩. নিয়মিত হাতের নখ কাটা। |
৪. খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া। |
৫. নিরাপদ পানি পান করা। |
৬. স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহার করা। |
“স্বাস্থ্যবিধি”
এর অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর –
১. শূন্যস্থান পূরণ কর –
- শরীরে জীবাণু প্রবেশ করলে আমরা অসুস্থ হই।
- স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সুষম খাদ্য খেতে হবে।
- ময়লা-আবর্জনা ডাস্টবিন বাঁ নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে।
- শরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না রাখলে আমাদের অসুখ হবে।
২. সঠিক উত্তরটিতে টিক (✔) চিহ্ন দাও –
১. রোগ প্রতিরোধের জন্য কোন অভ্যাসটি ভালো?
✔ নিয়মিত হাত ধোয়া।
২. শরীর সুস্থ রাখার জন্য কোনটি ভাল?
✔ প্রয়োজনমতো বিশ্রাম ও ঘুম।
৩. নিচের প্রশ্নগুলো উত্তর দাও
–
প্রশ্ন-১। টয়লেট ব্যবহার করার পর তোমার কী করা উচিত লেখ।
উত্তরঃ টয়লেট ব্যবহার করার পর পরিষ্কার পানিতে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া উচিত।
প্রশ্ন-২। আমাদের পরিবেশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দুইটি উপায় লেখ।
উত্তরঃ আমাদের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দুইটি উপায় হলো –
- রান্নাঘরের আবর্জনা ও অন্যান্য ময়লা ডাস্টবিন অথবা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে।
- সাবান এবং পানি দিয়ে নিয়মিত ধোয়ামোছা করে জিনিসপত্র থেকে জীবাণু দূর করতে হবে।
প্রশ্ন-৩। কীভাবে হাত ধুতে হয় বর্ণনা কর।
উত্তরঃ অপরিষ্কার হাত দিয়ে কোনো কিছু ধরলে জিবাণু আমাদের দেহে প্রবেশ করে এবং ছড়িয়ে
পড়ে। পরিষ্কার পানিতে সাবান
দিয়ে হাত ধোয়া রোগ থেকে বাঁচার সহজ এবং সবচেয়ে ভালো উপায়। খাবার আগে, খাবার তৈরির আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পরে আমাদের হাত সাবান ও নিরাপদ পানি ধোয়া
প্রয়োজন।
প্রশ্ন-৪। অসুখ থেকে বাঁচার চারটি ভালো অভ্যাস লেখ।
উত্তরঃ অসুখ থেকে বাঁচার চারটি ভালো অভ্যাস হলো –
- নিয়মিত ব্যায়াম ও খেলাধুলা অভ্যাস করা।
- নিয়মিত সুষম খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস করা।
- খাবার আগে ও পরে নিয়মিত সাবান ও পরিস্কার পানি দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করা।
- নিয়মিত বিশ্রাম এবং ঘুমের অভ্যাস করা।
প্রশ্ন-৫। কোথায় কোথায় রোগজীবাণু থাকে?
উত্তরঃ যেসব জায়গায় রোগজীবাণু থাকে তা নিচে দেওয়া হলো –
- মানুষের হাঁচি-কাশির মধ্যে থাকে।
- পোকামাকড় যেমন – মশা, মাছি ইত্যাদির মধ্যে রোগজীবাণু থাকে।
- দূষিত পানি ও খাবারে রোগজীবাণু থাকে।
- অপরিষ্কার টয়লেটে রোগজীবাণু থাকে।
প্রশ্ন-৬। সুস্থ থাকার জন্য কেন পরিচ্ছন্ন পরিবেশ প্রয়োজন।
উত্তরঃ আমাদের চারপাশে অদৃশ্য অসংখ্য জীবাণু ছড়িয়ে আছে। এসব জীবাণু মানুষের রোগ সৃষ্টি করে। দেহের ভেতরে জীবাণু যখন সংখ্যায় বৃদ্ধি পায় আমরা
তখনি অসুস্থ হয়ে পড়ি। এ কারণে
সুস্থ থাকার জন্য পরিচ্ছন্ন পরিবেশ প্রয়োজন।
৪. তীর চিহ্ন দিয়ে চিত্রগুলো যুক্ত
করে দেখাও কীভাবে রোগজীবাণু ছড়ায়?
উত্তরঃ যেভাবে রোগজীবাণু ছড়ায় তা তীর চিহ্ন দিয়ে চিত্রগুলো যুক্ত করে দেখানো হলো –
তথ্যসূত্রঃ
- বইঃ প্রাথমিক বিজ্ঞান (তৃতীয় শ্রেণি)
- পাঠঃ স্বাস্থ্যবিধি (অধ্যায় - ৮)
- পৃষ্ঠা – ৫৩ থেকে ৫৭
আশা করি তোমরা পুরো পোষ্টটি যত্ন সহকারে পড়েছ এবং উপকৃত হয়েছ। আর এটাই আমার সার্থকতা। পোষ্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে শেয়ার এবং কমেন্ট করতে ভুলবে না। আজ আর নয়, কথা হবে অন্য কোন দিন এবং নতুন কোন পাঠে। ঐ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকো এবং সুস্থ থাকো। আল্লাহ হাফেয।