প্রিয় শিক্ষার্থীবন্ধুরা, আশা করি ভালো আছো। আজকের এই ব্লগে আমি তোমাদের মাঝে তৃতীয় শ্রেণির “আমার বাংলা বই” বইয়ের ষষ্ঠ পাঠ ‘চল চল চল’ এর হ্যান্ডনোট শেয়ার করবো। আশা করি তোমাদের ভালো লাগবে এবং এই হ্যান্ডনোট টি ঠিকমতো আয়ত্ত্ব করতে পারলে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা সম্ভব হবে, ইনশাআল্লাহ্। তাহলে শুরু করা যাক –
“চল চল চল” এই পাঠের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য –
- কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় কবি। তাঁকে বিদ্রোহী কবিও বলা হয়।
- কাজী নজরুল ইসলাম এর “চল চল চল” কবিতাটি আমাদের রণ-সংগীত।
- মাদল একধরণের বাদ্যযন্ত্র যা দেখতে অনেকটা ঢোলের মতো।
- বিন্ধ্যাচল হলো বিন্ধ্যা নামক একটি পর্বত।
“চল চল চল” এর অনুশীলনীর
প্রশ্ন ও উত্তর –
১ – শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি –
শব্দ |
অর্থ |
উর্ধ্ব |
উপরের দিক |
গগন |
আকাশ |
মাদল |
ঢোলের মতো বাদ্যযন্ত্র |
নিম্নে |
নিচে |
উতলা |
ব্যাকুল/অস্থির |
ধরণী |
পৃথিবী |
অরুণ |
সকালের সূর্য |
প্রাতে |
সকালে |
উষা |
ভোরবেলার সূর্য |
প্রভাত |
সকাল |
টুটাব |
ভাঙব / দূর করব |
তিমির |
অন্ধকার |
বিন্ধ্যাচল |
বিন্ধ্যা পর্বত / পর্বতমালা |
নবীন |
নতুন |
সজীব |
সতেজ / জীবন্ত |
শ্মশান |
মৃতদেহ / পোড়ানোর স্থান |
২ – ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায়
বসিয়ে বাক্য তৈরি কর –
নবীনদের |
ধরণী |
প্রভাতে |
উতলা |
বিন্ধ্যাচল |
মাদল |
সজীব |
ক. তিনি প্রভাতে বই পড়েন।
খ. সাঁওতালরা নাচের সময় মাদল
বাজায়।
গ. আমরা নবীনদের বরণ করি।
ঘ. তরুণটি সব সময় সজীব থাকে।
ঙ. ধরণী খুবই সুন্দর।
চ. মা সন্তানের জন্য উতলা
হয়েছেন।
ছ. বিন্ধ্যাচল একটি পর্বতমালার নাম।
৩. যুক্তবর্ণ চিনে নেই।
উর্ধ্ব |
র্ধ্ব |
র্ধ |
ব |
নিম্নে |
ম্ন |
ম |
ন |
বিন্ধ্যাচল |
ন্ধ্যা |
ন |
ধ + য-ফলা |
মহাশ্মশান |
শ্ম |
শ |
ম |
৪. ঠিক উত্তরটি বাছাই করে বলে ও লিখি
–
ক. মাদল বাজে কোথায়?
উত্তরঃ উর্ধ্ব গগনে।
খ. অরুণ প্রাতের দলে কারা আছে?
উত্তরঃ তরুণেরা।
৫. কথাগুলো বুঝে নিই এবং লিখি –
ক. আমরা টুটাব তিমির রাত, বাধার বিন্ধ্যাচল,
তরুণেরা সজীব প্রাণের অধিকারী। তারা সব সময় অন্ধকার দূর করতে চায়। তারা এ জন্য
সব বাধা ডিঙিয়ে যাবে।
খ. নব নবীনের গাহিয়া গান, সজীব করিব মহাশ্মশান,
মহাশ্মশানে প্রাণের অনন্দ নেই। তরুণরা নতুনের গান গেয়ে মহাশ্মশানকে সজীব করে
তুলবে।
৬. মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি –
ক. সারি বেঁধে কারা চলেছে?
উত্তরঃ সারি বেঁধে তরুণেরা চলেছে।
খ. কারা তিমির দূর করবে?
উত্তরঃ তরুণেরা তিমির দূর করবে।
গ. বিন্ধ্যাচল কী?
উত্তরঃ বিন্ধ্যাচল হলো ভারতের একটি
পর্বতমালা।
৭. আগের চরণটি বলি ও লিখি –
ক. উর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল
নিম্নে উতলা ধরণী-তল,
খ. উষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত,
গ. নব নবীনের গাহিয়া গান
সজীব করিব মহাশ্মশান,
৮. একই অর্থের শব্দ জেনে নিই –
গগন – আকাশ, আসমান, নভ।
ধরণী – পৃথিবী, অবনী, জগৎ
৯. উত্তরঃ শ্রেণিশিক্ষকের সহযোগিতা
নিয়ে নিজেরা তালে তালে পা ফেলে কবিতাটি “চল চল চল” আবৃত্তি কর।
১০. উত্তরঃ পাঠ্যবই থেকে কবিতাটি ভালো করে মুখস্থ কর এবং খাতায় কয়েকবার লিখে বানান
শুদ্ধ করে নাও। তারপর না দেখে লিখে
তোমার শিক্ষককে দেখাও।
১১. উত্তরঃ কবিতাটির শুদ্ধ উচ্চারণ শিখে মুখস্থ কর এবং
শ্রেণিশিক্ষকের সহযোগিতায় সবাই মিলে সুর করে গাও।
তথ্যসূত্রঃ
- বইঃ আমার বাংলা বই (তৃতীয় শ্রেণি)
- পাঠঃ চল চল চল।
- পৃষ্ঠা – ২২ থেকে ২৫
আশা করি তোমরা পুরো পোষ্টটি যত্ন সহকারে পড়েছ এবং উপকৃত হয়েছ। আর এটাই আমার সার্থকতা। পোষ্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে শেয়ার এবং কমেন্ট করতে ভুলবে না। আজ আর নয়, কথা হবে অন্য কোন দিন এবং নতুন কোন পাঠে। ঐ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকো এবং সুস্থ থাকো। আল্লাহ হাফেয।