প্রিয় শিক্ষার্থীবন্ধুরা, আশা করি ভালো আছো। আজকের এই ব্লগে আমি তোমাদের মাঝে তৃতীয় শ্রেণির “আমার বাংলা বই” বইয়ের একাদশ পাঠ ‘আমার পণ’ এর হ্যান্ডনোট শেয়ার করবো। আশা করি তোমাদের ভালো লাগবে এবং এই হ্যান্ডনোট টি ঠিকমতো আয়ত্ত্ব করতে পারলে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা সম্ভব হবে, ইনশাআল্লাহ্। তাহলে শুরু করা যাক –
“আমার পণ” এর পাঠসংক্ষেপ –
‘আমার পণ’ একটি উপদেশমূলক কবিতা। কবিতার মাধ্যমে কবি নানান উপদেশ তুলে ধরেছেন। যেমন – জীবনে ভালো হয়ে চলা, গুরুজনের কথা মান্য করা, ভালো ছেলেদের সাথে মিশে চলা, লেখাপড়ায় অবহেলা না করা, মিথ্যা, লোভা ও ঝগড়া এড়িয়ে চলা এবং সবার দৃষ্টিতে ভালো থাকার নির্দেশনা এ কবিতার মূল উদ্দেশ্য।
“আমার পণ” এর অনুশীলনীর
প্রশ্ন ও উত্তর –
১ – শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি –
শব্দ |
অর্থ |
গুরুজন |
সম্মানীয় ব্যক্তি। |
পাঠ |
পড়া। |
হেলা |
অবহেলা। |
আদেশ |
হুকুম। |
ফাঁকি |
কাজে অবহেলা। |
কভু |
কখনো। |
সামলিয়ে |
এড়িয়ে। |
২ – ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায়
বসিয়ে বাক্য তৈরি কর –
কভু |
পাঠ |
হেলা |
আদেশ |
সামলিয়ে |
গুরুজন |
ফাঁকি |
ক. বড়দের আদেশ মেনে
চলা উচিত।
খ. আমরা পাঠ শেষ করে
খেলতে যাই।
গ. কাজে ফাঁকি দেওয়া
উচিত নয়।
ঘ. কভু মিথ্যা বলব না।
ঙ. মা-বাবা,
শিক্ষক আমাদের গুরুজন।
চ. কাউকে হেলা করবে
না।
ছ. লোভ সামলিয়ে যেন
চলতে পারি।
৩ – ঠিক উত্তরটি বাছাই করে বলি ও লিখি।
ক. কবিতাটি থেকে আমরা কী শিখলাম?
সবাই মিলেমিশে জীবন কাটাতে পারি।
৪ – প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।
প্রশ্ন-কঃ সারাদিন আমি কীভাবে
চলব?
উত্তরঃ সারাদিন আমি ভালো হয়ে চলব।
প্রশ্ন-খঃ কারা গুরুজন?
উত্তরঃ আব্বা-আম্মা,
শিক্ষক-শিক্ষিকা, নানা-নানি, চাচা-চাচি, খালা-ফুফু, মামা-মামি, দাদা-দাদি আমাদের গুরুজন। এছাড়াও যারা আমাদের বয়সে বড় তারাও গুরুজন।
প্রশ্ন-গঃ পড়ার সময় আমি কী করব?
উত্তরঃ পড়ার সময় আমি অবহেলা করব না।
প্রশ্ন-ঘঃ কোন ধরনের কথা আমি
বলব না?
উত্তরঃ মিথ্যা কথা আমি কখনো বলব না।
প্রশ্ন-ঙঃ কাদের আমরা ভালোবাসব?
উত্তরঃ ভাইবোন সকলকেই আমরা ভালোবাসব।
প্রাশ্ন-চঃ অন্যের দুঃখে আমরা
কী করব?
উত্তরঃ অন্যের দুঃখে আমরা সুখ অনুভব করব না। দুঃখ দূর করার চেষ্টা করব।
৫ – ডান দিকের কথার সাথে বাম দিকের
কথা মিলিয়ে পড়ি ও লিখি।
উত্তরঃ
- আদেশ মেনে চলি গুরুজনদের।
- ভালোবাসি সবাইকে।
- কাজ করি ভালো মনে।
- পাঠের সময় নাহি হেলা।
- সামলে রাখি লোভ।
৬ – গুরুজন সম্পর্কে জানি এবং তাঁদের সম্পর্কে একটি
করে বাক্য লিখি।
বাবা |
মা |
বাবা-মা আমাদের লালনপালন করেন। |
দাদা |
দাদি |
দাদা-দাদি আমাদের গুরুজন। |
নানা |
নানি |
নানা-নানির বাড়ি বেড়াতে খুব মজা। |
চাচা |
চাচি |
চাচা-চাচি বাবা-মায়ের মতো আপনজন। |
মামা |
মামি |
মাম-মামি আমাদের বেড়াতে নিয়ে যান। |
শিক্ষক |
শিক্ষক আমাদের শিক্ষাদান
করেন। |
৭ – নিচের বাক্যগুলোর কাজ বোঝানো শব্দগুলো
লিখি এবং তা দিয়ে বাক্য তৈরি করি।
আমি সকালে ঘুম থেকে
উঠি |
উঠা |
সকালে উঠা স্বাস্থ্যের
জন্য ভালো। |
কথাটা মনে মনে বললাম |
বলা |
সবার সত্য কথা বলা
উচিত। |
ভালো হয়ে চলি |
চলা |
সারাদিন ভালো হয়ে চলব। |
ভালো মনে কাজ করি |
করা |
সব সময় ভালো কাজ
করা উচিত। |
সকলেরে যেন ভালোবাসি |
ভালোবাসা |
গরিবদের ভালবাসতে হবে। |
একসাথে থাকি |
থাকা |
আমরা সবাই একসাথে
মিলেমিশে থাকি। |
কারো দুঃখে সুখী
যেন না হই |
হওয়া |
অন্যের দুঃখে দুখী হওয়া চাই। |
৮ – কবিতাটি মুখস্থ বলি ও লিখি
-
উত্তরঃ পাঠ্যবই থেকে কবিতাটি ভালো করে মুখস্থ কর এবং খাতায় কয়েকবার লিখে বানান
শুদ্ধ করে নাও। তারপর না দেখে লিখে
তোমার শিক্ষককে দেখাও।
৯ – আমার ইচ্ছে সম্পর্কে তিনটি বাক্য লিখি।
উত্তরঃ
- আমি ভালো হয়ে চলতে চাই।
- আমি গুরুজনদের আদেশ মেনে চলব।
- অপরের দুঃখে আমি সুখী হব না।
তথ্যসূত্রঃ
- বইঃ আমার বাংলা বই (তৃতীয় শ্রেণি)
- পাঠঃ আমার পণ
- পৃষ্ঠা – ৪৮ থেকে ৫১
আশা করি তোমরা পুরো পোষ্টটি যত্ন সহকারে পড়েছ এবং উপকৃত হয়েছ। আর এটাই আমার সার্থকতা। পোষ্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে শেয়ার এবং কমেন্ট করতে ভুলবে না। আজ আর নয়, কথা হবে অন্য কোন দিন এবং নতুন কোন পাঠে। ঐ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকো এবং সুস্থ থাকো। আল্লাহ হাফেয।