প্রিয় শিক্ষার্থীবন্ধুরা, আশা করি ভালো আছো। আজকের এই ব্লগে আমি তোমাদের মাঝে তৃতীয় শ্রেণির “আমার বাংলা বই” বইয়ের নবম পাঠ ‘তালগাছ’ এর হ্যান্ডনোট শেয়ার করবো। আশা করি তোমাদের ভালো লাগবে এবং এই হ্যান্ডনোট টি ঠিকমতো আয়ত্ত্ব করতে পারলে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা সম্ভব হবে, ইনশাআল্লাহ্। তাহলে শুরু করা যাক –
“তালগাছ” এর পাঠসংক্ষেপ –
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এ কবিতার মাধ্যমে তালগাছের ইচ্ছের কথা তুলে ধরেছেন। সব গাছ ছাড়িয়ে তালগাছটি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। তার মনের আশা, সে ডানা মেলে, কালো মেঘ ফুঁড়ে হারিয়ে যাবে
অজানার পানে। বাতাসে
যখন তার পাথে কাঁপতে থাকে, মনে হয় সে
যেন আকাশে উড়ছে। এরপর বাতসা
থেমে গেলে পাতাগুলো স্থির হয়। তার মনে
পড়ে যায়, মায়ের মতো একান্ত আপন এই মাটির
কথা।
“তালগাছ” এর অনুশীলনীর
প্রশ্ন ও উত্তর –
১ – শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি –
শব্দ |
অর্থ |
সাধ |
ইচ্ছা |
থথর |
থরথর |
২ – ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায়
বসিয়ে বাক্য তৈরি কর –
থথর |
সাধ |
ক. দীপুর পাখির মতো উড়ার সাধ হয়েছে।
খ. শীলা শীতে থথর করে কাঁপছে।
৩. কথাগুলো বুঝে নিই –
- পত্তর – পাতা।
- ফেরে – ফিরে আসা।
- ফেরে তার মনটি – তার ইচ্ছা বদলে যায়।
- আরবার – আরেক বার।
৪. ডান দিক থেকে ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে
খালি জায়গায় বসাই –
উত্তরঃ
ক. তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে
সব গাছ ছাড়িয়ে।
খ. তারপরে হাওয়া যেই নেমে যায়
পাতা-কাঁপা থেমে যায়।
গ. যেই ভাবে, মা যে হয় মাটি তার
ভালো লাগে আরবার
পৃথিবীর কোণটি।
৫. ঠিক উত্তরটি বাছাই করে বলে ও লিখি
–
ক. তালগাছ মনে মনে কাকে মা বলে ভাবে?
উত্তরঃ মাটিকে।
খ. তালগাছের মনে কী ইচ্ছা জাগে?
উত্তরঃ কালো মেঘ ফুঁড়ে উড়ে যাবে।
গ. তালগাছের ইচ্ছা কখন বদলায়?
উত্তরঃ হাওয়া নেমে গেলে।
৬. মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি
–
ক. তালগাছকে দেখে কী মনে হয়?
উত্তরঃ তালগাছকে দেখে মনে হয় সব গাছ ছাড়িয়ে সে মাথা উঁচু করে এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে।
খ. ‘মনে সাধ কালো মেঘ ফুঁড়ে যায়’
– কথাটির অর্থ কী?
উত্তরঃ তালগাছের মনে ইচ্ছে জাগে সে কালো মেঘ ফুঁড়ে অজানার দিকে মুক্তভাবে উড়ে যাবে। এ কথাটিই এখানে প্রকাশ পেয়েছে।
গ. তালগাছ কীভাবে তার ইচ্ছাকে ছড়িয়ে
দেয়?
উত্তরঃ যখন বাতাসে তালগাছের পাতা কাঁপে তখন তার পাতাকে ডানা মনে হয়। সে উড়ে যেতে চায় কালো মেঘ ভেদ করে। এভাবেই তালগাছ তার ইচ্ছেকে ছড়িয়ে দেয়।
ঘ. তালগাছ পাখা চায় কেন?
উত্তরঃ তালগাছটির মন চায় আকাশে উড়ে তারাদের এড়িয়ে কোথাও চলে যেতে। তাই সে পাখা চায়।
৭. গাছের যত্ন নেওয়া সম্পর্কে তিনটি
বাক্য মুখে মুখে বলি ও লিখি –
উত্তরঃ
- গাছপালা আমাদের বন্ধু।
- গাছকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য গাছের গোড়ায় মাটি ও পানি দিতে হবে।
- আগাছা পরিষ্কার করে গাছকে রোদ ও আলোর মধ্যে রাখতে হবে।
৮. নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য তৈরি
করি –
উত্তরঃ
- পৃথিবী – পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে।
- সাধ – তার আম খাওয়ার সাধ হয়েছে।
- মনে মনে – আমরা মনে মনে কল্পনা করি।
- ডানা – পাখি ডানা মেলে উড়ে।
- মাটি – পুতুল মাটির তৈরি।
৯. “তালগাছ” কবিতার প্রথম বারো লাইন মুখস্থ লিখি –
উত্তরঃ নিম্নে “তালগাছ”
কবিতার প্রথম বারো লাইন দেওয়া হলো। কবিতাটি ভালো করে মুখস্থ করে খাতায় কয়েকবার লিখে
বানান শুদ্ধ করে নাও। তারপর না
দেখে লিখে তোমার শিক্ষককে দেখাও।
তালগাছ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
তাল গাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে
সব গাছ ছাড়িয়ে
উকি মারে আকাশে।
মনে সাধ, কালো মেঘ ফুঁড়ে যায়
একেবারে উড়ে যায়;
কোথা পাবে পাখা সে?
তাই তো সে, ঠিক তার মাথাতে
গোল গোল পাতাতে
ইচ্ছাটি মেলে তার,
মনে মনে ভাবে। বুঝি ডানা এই,
উড়ে যেতে মানা নেই
বাসাখানি ফেলে তার।
সূত্রঃ আমার বাংলা বই, কবিতাঃ তালগাছ, পৃষ্ঠা নং- ৩৮ (তৃতীয় শ্রেণী)
১০. কবিতাটি আবৃত্তি করি –
উত্তরঃ “তালগাছ” কবিতাটি মুখস্থ
করে শ্রেণিশিক্ষকের সহায়তার আবৃত্তি করি।
১১. ছবি দেখি এবং ইচ্ছেমতো বাক্য লিখি
–
উত্তরঃ
ছবির ছেলেটির নাম রিফাত। সে তৃতীয়
শ্রেণিতে পড়ে। ছেলেটি ভাবুক। গাছগাছালি ও বাইরের জগৎ নিয়ে সে ভাবে। তালগাছ দেখে তার ইচ্ছে হয় তালগাছের মতো বড় হতে।
তথ্যসূত্রঃ
- বইঃ আমার বাংলা বই (তৃতীয় শ্রেণি)
- পাঠঃ তালগাছ
- পৃষ্ঠা – ৩৮ থেকে ৪১
আশা করি তোমরা পুরো পোষ্টটি যত্ন সহকারে পড়েছ এবং উপকৃত হয়েছ। আর এটাই আমার সার্থকতা। পোষ্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে শেয়ার এবং কমেন্ট করতে ভুলবে না। আজ আর নয়, কথা হবে অন্য কোন দিন এবং নতুন কোন পাঠে। ঐ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকো এবং সুস্থ থাকো। আল্লাহ হাফেয।