প্রিয় শিক্ষার্থীবন্ধুরা, আশা করি ভালো আছো। আজকের এই ব্লগে আমি তোমাদের মাঝে তৃতীয় শ্রেণির “প্রাথমিক বিজ্ঞান” বইয়ের চতুর্থ পাঠ ‘জীবনের জন্য পানি’ এর হ্যান্ডনোট শেয়ার করবো। আশা করি তোমাদের ভালো লাগবে এবং এই হ্যান্ডনোট টি ঠিকমতো আয়ত্ত্ব করতে পারলে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা সম্ভব হবে, ইনশাআল্লাহ্। তাহলে শুরু করা যাক –
এই অধ্যায়ের আলোচ্য বিষয় –
বিশুদ্ধ পানির আপর নাম জীবন। আমাদের
শরীরের তিনাভাগের দু’ভাগই পানি। উদ্ভিদেরও পানির প্রয়োজন। উদ্ভিদ পানির সাহায্যে খাদ্য তৈরি করে। পৃথিবীর চারভাগের তিনভাগ পানি দ্বারা ঢাকা হলেও
আমদের ব্যবহারের উপযোগী পানি খুব বেশি পরিমাণে নেই। সমুদ্রের পানি লোনা বা লবণাক্ত। নদনদী, খালবিলের পানি দূষিত। মাটির নিচে
ব্যবহারের উপযোগী নিরাপদ পানির পরিমাণ খুব কম। তাই ভূ-গর্ভস্থ নিরাপদ পানির সংরক্ষণ খুবই প্রয়োজন।
পাঠ্যবইয়ে দেওয়া প্রশ্ন ও কাজগুলোর সমাধান –
প্রশ্নঃ পানি আমরা কোথা থেকে
পাই? (পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা নং
- ২২)
উত্তরঃ আমারা সাধারণত বৃষ্টি, পুকুর, নদীনালা,
খালবিল, হ্রদ, সমুদ্র,
কুয়া, নলকূপ, পানির কল ইত্যাদি
থেকে পানি পাই।
কাজঃ পানির উৎস। (পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা নং - ২২)
সমাধানঃ আমার খাতায় পাঠ্যবইয়ে
দেখানো ছকের মতো একট ছক তৈরি করে পানির উৎসগুলো ছকে লিখলাম।
পানির উৎস |
বৃষ্টি, পুকুর |
নদী, কুয়া |
সমুদ্র, পানির কল |
অতঃপর আমার কাজ নিয়ে
আমার সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করলাম।
কাজঃ পানি কোথা থেকে আসে? (পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা নং - ২৩)
সমাধানঃ পাঠ্যবইয়ের নির্দেশনা
অনুযায়ী কাজগুলোর করে নিচে ছকটি পূরণ করলাম –
প্রাকৃতিক উৎস |
মানুষের তৈরি উৎস |
বৃষ্টি |
পুকুর |
নদীনালা |
কুয়া |
খালবিল |
নলকূপ |
হ্রদ |
পানির কল |
সমুদ্র |
বাঁধ |
আমার কাজ নিয়ে সহপাঠীদের
সাথে অলোচনা করলাম। আলোচনা থেকে জানতে পারলাম
পানি কোন কোন উৎস থেকে আসে।
প্রশ্নঃ আমরা কী কী কাজে
পানি ব্যবহার করি? (পাঠ্যবইয়ের
পৃষ্ঠা নং - ২৪)
উত্তরঃ আমরা বিভিন্ন কাজে
পানি ব্যবহার করি। যেমন –
- পান করার কাজে।
- রান্নার কাজে।
- পরিচ্ছন্নতা ও ধোয়ামোছার কাজে।
- ফসল ফলাতে।
- মৎস্য খামারে ও কলকারখানায়।
কাজঃ পানির ব্যবহার (পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা নং - ২৪)
সমাধানঃ আমার খাতায় পাঠ্যবইয়ে
দেখানো ছকের মতো একটি ছক তৈরি করলাম এবং ছকে পানির বিভিন্ন ব্যবহার লিখলাম –
|
পানির ব্যবহার |
১ |
পানি পান করা হয়। |
২ |
রান্না করতে পানি ব্যবহার হয়। |
৩ |
চাষাবাদ করতে পানি ব্যবহার হয়। |
অতঃপর আমার কাজ নিয়ে
আমার সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করলাম।
আলোচনাঃ পানির উৎস এবং ব্যবহার
এর মধ্যে সম্পর্ক কী? (পাঠ্যবইয়ের
পৃষ্ঠা নং - ২৫)
সমাধানঃ পানির উৎস ও ব্যবহারের
মধ্যে সম্পর্কে নিচের ছকে দেখানো হলো –
উপরের ছকের সাহায্যে আমরা
সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করে জানতে পারলাম, কোন উৎস থেকে পানি পেয়ে কোন কোন কাজে ব্যবহার করতে পারি।
আলচনাঃ কোন পানি পান করার
উপযোগী এবং কোন পানি পান করার উপযোগী নয়? (পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা নং - ২৭)
সমাধানঃ পাঠ্যবইয়ের নির্দেশনা
অনুযায়ী নিচের ছকটি পূর্ণ করলাম –
নিরাপদ পানি |
অনিরাপদ পানি |
১. ফুটানো পানি। |
১. পুকুরের পানি। |
২. ফিল্টার পানি। |
২। নদি ও সমুদ্রের পানি। |
৩. নলকূপের পানি। |
৩. আর্সেনিকযুক্ত নলকূপের পানি। |
৪. বোতলে প্রক্রিয়াজাত করা পানি। |
৪. কুয়ার
পানি। |
৫. বৃষ্টির পানি। |
৫. খাল-বিলের পানি। |
আমার কাজ নিয়ে সহপাঠীদের
সাথে আলোচনা করলাম এবং জানতে পারলাম আমাদের কোন পানি পান করা নিরাপদ এবং কোন পানি পান
করা অনিরাপদ বিশুদ্ধ পানি পান করা নিরাপদ।
প্রশ্নঃ পানি কীভাবে দূষিত
হয়?
উত্তরঃ ক্ষতিকর বস্তু পানিতে
মিশলে পানি দূষিত হয়। পানিতে
তেল, ময়লা-আবর্জনা
এবং অন্যান্য ক্ষতিকর বর্জ্য ফেললে পানি দূষিত হয়। এছাড়াও পানিতে গবাদিপশু গোসল করালে পানি দূষিত হয়।
কাজঃ পানি দূষণের কারণ। (পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা নং - ২৮)
সমাধানঃ দুষিত পানিতে কী
কী থাকে – ময়লা-আবর্জনা,
গাছের পাতা, পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিক বোতল, পানির উপরে ভাসমান শেওলা, কাগজের টুকরা।
আমরা সহপাঠীরা মিলে ডোবা
এবং পুকুরের দূষিত পানি দেখতে পাই। এছাড়াও
যেসব ক্ষতিকর বস্তু পানিতে মিশে পানিকে দূষিত করে সেসম বস্তু সম্পর্কে ধারণা পাই। আলোচনার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি যে বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা পানিতে ফেললে পানি দূষিত হয়।
আলোচনাঃ আমরা পানি দূষণ কীভাবে
রোধ করতে পারি? (পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা
নং - ২৮)
পানি দূষণ রোধে তোমার চিন্তাভাবনা সহপাঠীদের সাথে আলোচনা কর।
উত্তরঃ ক্ষতিকর বস্তু পানিতে মিশলে পানি দূষিত হয়। নিম্নের উপায়ে আমরা পানি দূষণ রোধ করতে পারি –
১. পানিতে ক্ষতিকর আবর্জনা ফেলা বন্ধ
করে।
২. কারখানার দূষিত বর্জ্য পানিতে ফেলা
বন্ধ করে।
৩. পানিতে গরু-বাছুর গোসল না করালে।
৪. নদীর পানিতে কাপড়, থালাবাসন ধোঁয়ার কাজ না করলে।
পানি দূষণ রোধে আমার চিন্তভাবনা সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করলাম।
“জীবনের
জন্য পানি” এর অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর –
১. শূন্যস্থান পূরণ কর –
১. পানি একটি প্রাকৃতিক সম্পদ।
২. পানিতে ক্ষতিকর বর্জ্য মিশলে পানি
দূষিত হয়।
৩. বৃষ্টি, নদী,
সমুদ্র এবং পানির কল এগুলো পানির উৎস।
৪. সমুদ্রের পানি লোনা।
২. সঠিক উত্তরটিতে টিক (✔) চিহ্ন দাও –
১. কোনটি পানি দূষণের কারণ?
✔ পানিতে ময়লা ফেলা।
২. কোন রং এর নলকূপ থেকে নিরাপদ পানি
পাওয়া যায়?
✔ সবুজ।
৩. কোনটি নিরাপদ পানি?
✔ ফুটানো পানি।
৩. নিচের প্রশ্নগুলো উত্তর দাও
–
প্রশ্ন-১। আমরা কী কী কাজে পানি ব্যবহার করি?
উত্তরঃ আমরা বিভিন্ন কাজে পানি ব্যবহার করি। যেমন –
১. পান করার কাজে।
২. রান্নার কাজে।
৩. পরিচ্ছন্নতা ও ধোয়ামোছার কাজে।
৪. ফসল ফলাতে।
৫. মৎস্য খামারে ও কলকারখানায়।
প্রশ্ন-২। পানি দূষণের তিনটি কারণ লেখ?
উত্তরঃ পানি দূষণের তিনটি কারণ নিম্নে দেওয়া হলো –
১. পানিতে তেল ফেলা।
২. ময়লা-আবর্জনা
ফেলা।
৩. ক্ষতিকর বর্জ্য ফেলা।
প্রশ্ন-৩। আমরা কীভাবে পানি দূষণ রোধ করতে পারি?
উত্তরঃ আমরা যেভাবে পানি দূষণ রোধ করতে পারি –
১. নদীতে ত্রুটিযুক্ত ইঞ্জিনচালিত
যান ব্যবহার না করে।
২. পানিতে ময়লা-আবর্জনা না ফেলে।
৩. ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ পানিতে না
ফেলে।
প্রশ্ন-৪। আমরা কীভাবে পানির অপচয় রোধ করতে পারি?
উত্তরঃ আমরা যেভাবে পানির অপচয় রোধ করতে পারি –
১. দাঁত ব্রাশ করার সময় পানির কল বন্ধ
রেখে।
২. গোসল করার সময় প্রয়োজনের বেশি পানি
ব্যবহার না কারে।
৩. হাত ধোয়ার সময় অতিরিক্ত পানি ব্যবহার
না করে।
৪. নিচের ছক পানির উৎসগুলোকে নিরাপদ
পানি এবং অনিরাপদ পানি এই দুই ভাগে সাজাও।
ফিল্টার করা পানি, সমুদ্রের পানি, লাল রঙের নলকূপের পানি,
সবুজ রঙের নলকূপের পানি, ফুটানো পানি,
পুকুরের পানি |
উত্তরঃ ছকে পানির উৎসগুলোকে নিরাপদ পানি এবং অনিরাপদ পানি এ দু’ভাগে সাজানো হলো –
নিরাপদ পানি |
অনিরাপদ পানি |
ফিল্টার করা পানি |
সমুদ্রের পানি |
সবুজ রঙের নলকূপের
পানি |
লাল রঙের নলকূপের পানি |
ফুটানো পানি |
পুকুরের পানি |
তথ্যসূত্রঃ
- বইঃ প্রাথমিক বিজ্ঞান (তৃতীয় শ্রেণি)
- পাঠঃ জীবনের জন্য পানি (অধ্যায় - ৪)
- পৃষ্ঠা – ২২ থেকে ২৯
আশা করি তোমরা পুরো পোষ্টটি যত্ন সহকারে পড়েছ এবং উপকৃত হয়েছ। আর এটাই আমার সার্থকতা। পোষ্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে শেয়ার এবং কমেন্ট করতে ভুলবে না। আজ আর নয়, কথা হবে অন্য কোন দিন এবং নতুন কোন পাঠে। ঐ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকো এবং সুস্থ থাকো। আল্লাহ হাফেয।