প্রিয় ইসলামিক বন্ধুরা, আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা ভালো আছেন। notesaid24 ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আপনাদের মাঝে “দুরুদে রুইয়্যাতে নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়সাল্লাম” আরবি উচ্চারন, বাংলা উচ্চারণ এবং এর ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত শেয়ার করবো। আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন এবং ভালো লাগলে পেইজটি অবশ্যই শেয়ার করবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক –
দুরুদে রুইয়্যাতে
নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়সাল্লাম এর আরবি উচ্চারণঃ
দুরুদে রুইয়্যাতে
নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়সাল্লাম এর বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা
সাল্লি আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়ে ওয়াআলা আ-লিহি ওয়া আসহা-বিহি
ওয়া সাল্লিম।
স্মরণীয় যে, আরবি উচ্চারণ বাংলা মাধ্যমে পড়লে শব্দের সঠিক উচ্চারণ হয় না। তাই চেষ্টা করবেন আরবি এবারত দেখে দেখে উচ্চারণ পড়ার জন্য।
দুরুদে রুইয়্যাতে
নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়সাল্লাম এর বাংলা অনুবাদঃ আয় আল্লাহ্! আপনি আমাদের প্রিয় নবী মুস্তফা হযরত মুহাম্মদ
(সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলায়হে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম) (স্কুল মাদ্রাসায়) শিক্ষাপ্রাপ্ত
হননি,
তাঁর উপর ও তাঁর সাহাবাগণের উপর শান্তি বর্ষণ করুণ।
দুরুদে রুইয়্যাতে
নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়সাল্লাম এর ফজিলতঃ দুরুদে মাহী এর অসংখ্য ফজিলত রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নিম্নরূপ -
👉 গুনিয়াতুত্তালেবীন’ নামক কিতাবে লিখা
আছে, জনাবে সরদার দুজাহাঁ (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলায়হে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম)
এরশাদ করেছেন – যে ব্যক্তি জুমআ রাতের শেষভাগে দু’রাকাত নফল নামাযে ১ম রাকয়াতে সুরা
আল-ফাতিহা ও আয়তুল কুরসী এবং ২য় রাকয়াতে সুরা আল ফাতিহার সাথে ১৫ বার সুরা ইখলাছ মিলিয়ে
নামায শেষ করবে এবং তারপর ১০০০ বার এই দরুদ শরীফ পাঠ করে নিদ্রা যাবে, সেই রাতে অবশ্যই
স্বপ্নযোগে আমার দর্শনলাভ করবে। যদি একদিনে দর্শন না পায়, তাহলে এক সপ্তাহের
চেষ্টায় অবশ্যই পাবে।
👉 প্রত্যেক ওয়াক্ত নামায বাদ উক্ত দুরুদ
শরীফ ১০০ বার ও এস্তেগফার ১০০ বার অজিফারুপে পাঠ করলে অবশ্যই স্বপ্নে আখেরী নবী (সাল্লাল্লাহু
তায়ালা আলায়হে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম) এর দর্শন লাভ করবে। যদি জীবিতকালে না পায়, অন্তত মৃত্যুর
সময়ে হুজুর (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলায়হে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম) এসে সাক্ষাৎ দিবেন এবং
ঈমান সহকারে মৃত্যু হবে।
👉 প্রতিদিন রাতে শোয়ার সময় দুরুদে রুইয়্যাতে নবী (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলায়হে ওয়াআলিহি
ওয়াসাল্লাম) ৩ বার ও এস্তেগফার ৩ বার পাঠ করে নিদ্রা গেলে, এ ব্যক্তি কুস্বপ্ন
দেখবে না। এবং তার ঘুম ভাঙ্গবার আগেই করুণাময় আল্লাহ্ তার সমগ্র জীবনের পাপ মাফ করে
দেবেন – যদি তার পাপরাশি দুনিয়ার সমুদ্রগুলোর ফেনাপুঞ্জের সমান ও হয়, কিংবা আলেজ মরুভুমির বালুকা সমষ্টির সমান ও হয়, অথবা আরবের রবিয়া
বংশের মেষসমুহের লোম সমান ও হয়। (আল হাদিস)
সোর্সঃ ইসলামিক বই থেকে নেওয়া।