পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যেই জন
নিজের অনিষ্ট বীজ করে সে বপন।
অন্যের ক্ষতিসাধন করতে গিয়ে অনেক সময় মানুষ
নিজের সর্বনাশ ডেকে আনে। তাই জেনেশুনে অন্যের ক্ষতি করার চেষ্টা করা উচিত নয়।
একে অপরের ওপর নির্ভরশীল হয়ে যে সমাজ গড়ে
উঠেছে, সেখানে কল্যাণচিন্তাই প্রধান। যে মানুষ সর্বদা অন্যের উপকারের কথা ভাবে, সে
সমাজে সম্মানিত হয়। অপরদিকে, যে ব্যক্তি সর্বদা অন্যের ক্ষতির চিন্তা করে, সে অবশ্যই
হীনমন্য। অন্যের অনিষ্ট করার চিন্তা করতে করতে তার মন ছোট হয়ে যায়। মানুষ হিসেবে সে
হয়ে পড়ে ক্ষুদ্র, নিকৃষ্ট। খারাপ চিন্তার কারণে তার চিত্তে শান্তি থাকে না, শুদ্ধি
আসে না। ফলে সে কর্মক্ষেত্রেও উন্নতি করতে পারে না। পার্থিব কর্মের ফল মানুষ কোনো না
কোনোভাবেই পৃথিবীতে পেয়ে যায়। তাই এ ধরনের ব্যক্তিকে নিজ জিবনেই ক্ষতির সম্মুখীন হতে
হয়।
বিশ্বের মহৎ ব্যক্তিরা সবসময় অপরের কল্যাণ
চিন্তা করেছেন। ‘পরার্থে জীবন’ এই মহান বাক্যে তারা সর্বদা ছিলেন নিবেদিত।
কথায় বলে, ‘ফুল আপনার জন্য ফোটে না’ অন্যের
জীবন সুন্দর এবং সুবাসিত করার জন্য ফুল ফোটে। অপরের উপকার সাধন করার মধ্যেই রয়েছে জীবনের
সার্থকতা। তাই অপরের অনিষ্ট চিন্তা করার উচিত নয়। অপরের ক্ষতি করার চিন্তার মধ্যেই
রয়েছে নিজের অপরিমাণদর্শী ক্ষতির আশঙ্কা।