গ্রন্থগত বিদ্যা পর হস্ত ধন
নহে বিদ্যা, নহে ধন, হলে প্রয়োজন।
বিদ্যা ও ধন, এ দুটো মানুষের জীবনে খুবই প্রয়োজন।
এ দুটোকে কঠোর পরিশ্রম ও সাধনা করে অর্জন করতে হয়। প্রয়োজনের মুহুর্তে এ দুটো কাজে
না লাগলে বিদ্যা ও ধন দুটোই অর্থহীন বোঝার মতো মনে হয়।
বিদ্যা ও জ্ঞান মানুষ পরিশ্রম করে আত্মস্থ
করে। বাস্তব ও ব্যবহারিক জীবনে সেই বিদ্যাকে কাজে লাগিয়ে উপকৃত হয়। এটাই প্রত্যাশিত।
অনুরূপভাবে ধনসম্পত্তি মানুষ কঠিন পরিশ্রম করে অর্জন করে এ জন্য যে, তা প্রয়োজনের সময়
কাজে লাগিয়ে বিপদ থেকে উদ্ধার পাবে, নিজেকে বিপদমুক্ত করতে পারবে। কিন্তু প্রয়োজনের
সময় সেই ধন যদি অন্যের হাতে থাকে, নিজের কাজে লাগাতে না পারে, তখন সেই ধনের কোনো মূল্য
থাকে না। মুখস্থ বা গ্রন্থগত বিদ্যাও ঠিক সেরকম, বাস্তব জীবনে মুখস্থ বা গ্রন্থগত বিদ্যাও
কোনো কাজে আসে না।
বিদ্যা ও ধনের সার্থকতা নির্ভর করে মানুষের
প্রয়োজন মেটানোর ওপর। প্রয়োজনের মুহূর্তে কাজে না লাগলে এ দুটোরই কোনো মূল্য নেই। তাই
বিদ্যা ও ধনকে আয়ত্তধীন রেখে সেগুলির সদ্ব্যবহার করতে হবে।