কতবড় আমি, কহে নকল হীরাটি
তাই তো সন্দেহ করি নহ ঠিক খাঁটি।
মিথ্যা পরিচয় নিয়ে যারা বড়াই করে, তাদের গর্ব
ঠুনকো। আর যারা প্রকৃত অর্থে বড়, তারা নিরহংকার ও বিনয়ী হয়। মিথ্যা, ভিত্তিহীন পরিচয়ের
অহংকার নিয়ে বেশিদিন চলা যায় না। একদিন না একদিন তার আসল পরিচয় ধরা পড়বেই। তখন তার
অহংকার চূর্ণ হয়ে কচুপাতার পানির মতো গড়িয়ে পড়ে।
হীরা খুবই মূল্যবান জিনিস। কিন্তু নকল হীরার
সেই মূল্য নেই। আসল বা খাঁটি হীরার মতো সে যদি নিজেকে মহামূল্যবান ভেবে অহংকার করে,
তবে তার দর্প চূর্ণ হতে বাধ্য। আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে, যারা সত্যিকার অর্থে
খুবই তুচ্ছ, নিকৃষ্ট, হীনচিত্ত; কিন্তু অহমিকায় অন্ধ হয়ে তারা বাইরে প্রচার করে যে
তারা অনেক বড়। শুধু তাই নয়, অনেক সময় হীনচিত্তের এ মানুষগুলো নকল হীরের মতো আমাদের
সমাজের মধ্যমণি হয়ে ওঠে। কিন্তু অন্যকে তুচ্ছজ্ঞান করে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বেশিদূর অগ্রসর
হওয়া যায় না। একদিন তাদের সত্যিকার মুখোশ বেরিয়ে পড়ে। তখন তাদের মুখ লুকোবার জায়গা
থাকে না।
যার গুণ আছে তার সুনাম এমনিতেই প্রকাশ পায়।
তার পরিচয় জাহির করার প্রয়োজন হয় না। পক্ষান্তরে, মথ্যা পরিচয় যে অহংকার করে, একদিন
তার সত্য পরিচয় উন্নোচিত হলে সে লজ্জিত হয়।