কম্পোনেন্ট বেইজড আর্কিটেকচার (Component
Based Architecture): React.js এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এর কম্পোনেন্ট বেইজড আর্কিটেকচার।
প্রতিটি UI এর অংশকে ছোট ছোট কম্পোনেন্টে ভেঙে ফেলা হয়, যার মাধ্যমে কোডের পুনঃব্যবহারযোগ্যতা
বৃদ্ধি করে।
জেএসএক্স (JSX): React.js এ JavaScript এর
মধ্যে HTML কোড লিখতে পারি, যা JSX নামে পরিচিত। JSX কোডকে আরও সহজ, পাঠযোগ্য এবং বুঝতে
সুবিধাজনক করে তোলে।
ভার্চুয়াল ডম (Virtual DOM): React.js এ
Virtual DOM ব্যবহৃত হয়, যা আসল DOM এর তুলনায় অনেক দ্রুত কাজ করে। যখন UI এর মধ্যে
কোনো পরিবর্তিত হয়, React প্রথমে Virtual DOM এ পরিবর্তন করে এবং তারপর রিয়েল DOM
এর সাথে তুলনা করে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় অংশ পরিবর্তন করে। এটি অ্যাপ্লিকেশনের পারফরম্যান্স
বৃদ্ধি করে।
ডাটা ফ্লো (One-way Data Binding): React.js
এ ডাটা ফ্লো একমুখী হয়, অর্থাৎ ডাটা শুধুমাত্র প্যারেন্ট কম্পোনেন্ট থেকে চাইল্ড কম্পোনেন্টে
যায়। এটি ডাটা ম্যানেজমেন্টকে সহজ করে এবং অ্যাপ্লিকেশনের বাগ ফ্রি (bug-free) হওয়ার
সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে।
রিইউজেবল কম্পোনেন্ট (Reusable
Components): React.js এর একটি শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য হলো এর কম্পোনেন্টগুলো পুনরায়
ব্যবহার করা যায়। একবার একটি কম্পোনেন্ট তৈরি করলে, আপনি সেটি প্রজেক্টের যেকোনো জায়গায়
ব্যবহার করতে পারবেন। এটি কোডের স্থায়িত্ব বাড়ায় এবং সময় বাঁচায়।
ডেভেলপার টুলস (React Developer Tools): React.js
ডেভেলপারদের জন্য ডেডিকেটেড ডেভেলপার টুলস প্রদান করে, যার মাধ্যমে অ্যাপ্লিকেশনের
কম্পোনেন্ট গুলো বিশ্লেষণ এবং ডিবাগ করা সহজ হয়। এটির মাধ্যমে ডেভেলপারদের কাজের কয়েকগুণ
গতি বৃদ্ধি করে।
স্টেট ম্যানেজমেন্ট (State Management): React.js
এ স্টেট ম্যানেজমেন্ট ব্যবহার করা অত্যন্ত সহজ। প্রতিটি কম্পোনেন্টের নিজস্ব স্টেট
থাকে, যা ইউজারের ইন্টারঅ্যাকশনের ভিত্তিতে পরিবর্তন হয়। অ্যাপ্লিকেশনের স্টেট ম্যানেজমেন্ট
এর জন্য Context API, Redux এবং Zustand এর মতো জনপ্রিয় টুলস ব্যবহার করতে পারেন।
রিয়্যাক্ট হুকস (React Hooks): React
16.8 ভার্সনের পর থেকে Hooks যুক্ত করা হয়েছে, যা ক্লাস কম্পোনেন্ট ব্যবহার না করেও
স্টেট এবং অন্যান্য React এর বৈশিষ্ট্যগুলি ফাংশনাল কম্পোনেন্টে যুক্ত করার সুযোগ দেয়।
এটি কোডকে আরও সংক্ষিপ্ত এবং সহজ করে তোলে।
কমিউনিটি এবং লাইব্রেরি সাপোর্ট (Component
and Library Support): React.js এর বিশাল কমিউনিটি এবং লাইব্রেরি সাপোর্ট রয়েছে। যেকোনো
সমস্যা সমাধান বা নতুন ফিচার যুক্ত করার জন্য বিভিন্ন ওপেন সোর্স লাইব্রেরি পাওয়া
যায়, যা ডেভেলপারদের কাজকে আরও সহজ করে তোলে।