তেত্রিশ আয়াতের ফযিলত


আসসালামু আলাইকুম, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আর আমিও আল্লাহর অশেষ কৃপা ও রহমতে ভালো আছি। অনেক দিন পর আবারো আপনাদের মাঝে একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আপনারা  কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন। আর আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো তেত্রিশ আয়াতের আমল ও ফযিলত (The virtue of thirty-three verses)। যদি এতে আপনারা উপকৃত হন, তাহলে কমেন্ট করতে ভূলবেননা। আর এই ওয়েবপেইজ এর মাধ্যমে যদি একটুও লাভবান হন, তাহলে ওয়েবপেইজটি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন।



👉তেত্রিশ আয়াতের আমল ও ফযিলত (বিস্তারিত)


তেত্রিশ আয়াতের আমল ও ফযিলত









তেত্রিশ আয়াতের ফযীলতঃ




১। রাসুল (স) এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পরম ভক্তি ও বিশ্বাসের সাথে তেত্রিশ আয়াত পাঠ করবে, আল্লাহ্‌ পাক তার সর্বরকম সৎ উদ্দেশ্য সফল করে দিবেন এবং সে পুরাপুরিভাবে আল্লাহর নিরাপত্তা ও আশ্রয়ের মধ্যে কাল যাপন করতে পারবে। সর্বদাই আল্লাহর রহমতের ধারা তার উপর বর্ষিত হতে থাকবে।



২। যে ব্যক্তি প্রাতে ও সন্ধ্যায় এ আয়াতসমূহ পাঠ করবে, আল্লাহ্‌ তার রূজী রোজগার অত্যধিক বরকত দান করবেন। সে সকলের নিকট মান-সম্মান লাভ করবে। সকলে অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও মনোযোগের সাথে তার উপদেশ শ্রবণ করবে এবং তদানুযায়ী আমল করবে।




৩) যে ব্যক্তি তেত্রিশ আয়াত নিয়মিতভাবে পাঠ করবে সে ব্যক্তি সকল প্রকার অত্যচারী, গীবত রটনাকারী, হিংসুক ও জালেমের জুলুম হতে ইনশাআল্লাহ হিফাজত থাকবে। রাতের বেলায় পাঠ করে ঘুমালে চোর-ডাকাতের উপদ্রব হতে রক্ষা পাবে এবং মাল – সম্পদ নিরাপদে থাকবে।




৪) জ্বিন –পরী আক্রান্ত ও বান-টোনাগ্রস্ত ব্যক্তিকে উক্ত তেত্রিশ আয়াতের তাবীজ লিখে পানিতে ভিজিয়ে সে পানি তের দিন পর্যন্ত পান করালে এবং গোসলের পর কোমর পানিতে নেমে তের দিন পর্যন্ত উক্ত তাবিজ ভেজান পানি মাথা হতে সমস্ত শরীরে ঢেলে দিলে ইনশাআল্লাহ উক্ত রোগাক্রান্ত রোগীর রোগ মুক্ত হবে। এক তাবীজে ভালো না হলে উল্লিখিত নিয়মে ২, ৩, ৪, ৫, বা ৭ টি তাবীজ ব্যবহার করতে হবে।




৫) তেত্রিশ আয়াত নিয়মিতভাবে পাঠকারী ব্যক্তির সকল নেক মাকছুদ পূর্ণ হবে। নিরাপদে জীবন – যাপন করতে পারবে ও সর্বদা মহান আল্লাহর রহমতের মাঝে থাকবে এবং তাবীজ বানিয়ে ছোট ছেলে – মেয়েদের গলায় বেঁধে দিলে ইনশাআল্লাহ তার সর্বপ্রকার বালা-মুছিবাত হতে হিফাজত থাকবে।




বিঃদ্রঃ – পবিত্র কোরআন পাকের ভিবিন্ন স্থানে অবস্থিত সর্বমোট ৩২ আয়াত ও

 “ বিসমিল্লাহ্‌ “ শরীফ ১ আয়াত। সর্বমোট ৩৩ আয়াত।





 بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ






সূরা বাকারার প্রথম ৫ আয়াতঃ




﴿١﴾  الم ﴿٢﴾  ذَٰلِكَ الْكِتَابُ لَا رَيْبَ ۛ فِيهِ ۛ هُدًى لِلْمُتَّقِينَ ﴿٣﴾  الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُونَ ﴿٤﴾  وَالَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ وَبِالْآخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ  ﴿٥﴾  أُولَٰئِكَ عَلَىٰ هُدًى مِنْ رَبِّهِمْ ۖ وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ





 সূরা বাকারার (২৫৫-২৫৭) ৩ আয়াতঃ




 ﴿٢٥٥﴾ اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ ۚ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ ۚ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۗ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ ۚ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ ۖ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ ﴿٢٥٦﴾ لَا إِكْرَاهَ فِي الدِّينِ ۖ قَدْ تَبَيَّنَ الرُّشْدُ مِنَ الْغَيِّ ۚ فَمَنْ يَكْفُرْ بِالطَّاغُوتِ وَيُؤْمِنْ بِاللَّهِ فَقَدِ اسْتَمْسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقَىٰ لَا انْفِصَامَ لَهَا ۗ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ ﴿٢٥٧﴾ اللَّهُ وَلِيُّ الَّذِينَ آمَنُوا يُخْرِجُهُمْ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ ۖ وَالَّذِينَ كَفَرُوا أَوْلِيَاؤُهُمُ الطَّاغُوتُ يُخْرِجُونَهُمْ مِنَ النُّورِ إِلَى الظُّلُمَاتِ ۗ أُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ







সূরা তাওবার শেষ ২ আয়াতঃ




﴿١٢٨﴾ لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِنْ أَنْفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُمْ بِالْمُؤْمِنِينَ رَءُوفٌ رَحِيمٌ ﴿١٢٩﴾ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَقُلْ حَسْبِيَ اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ ۖ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ







সূরা সাফফাতের প্রথম  ১১ আয়াতঃ




﴿١﴾ وَالصَّافَّاتِ صَفًّا ﴿٢﴾ فَالزَّاجِرَاتِ زَجْرًا ﴿٣﴾ فَالتَّالِيَاتِ ذِكْرًا ﴿٤﴾ إِنَّ إِلَٰهَكُمْ لَوَاحِدٌ ﴿٥﴾ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَرَبُّ الْمَشَارِقِ ﴿٦﴾ إِنَّا زَيَّنَّا السَّمَاءَ الدُّنْيَا بِزِينَةٍ الْكَوَاكِبِ ﴿٨﴾ لَا يَسَّمَّعُونَ إِلَى الْمَلَإِ الْأَعْلَىٰ وَيُقْذَفُونَ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ ﴿٩﴾ دُحُورًا ۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ وَاصِبٌ ﴿١٠﴾ إِلَّا مَنْ خَطِفَ الْخَطْفَةَ فَأَتْبَعَهُ شِهَابٌ ثَاقِبٌ ﴿١١﴾ فَاسْتَفْتِهِمْ أَهُمْ أَشَدُّ خَلْقًا أَمْ مَنْ خَلَقْنَا ۚ إِنَّا خَلَقْنَاهُمْ مِنْ طِينٍ لَازِبٍ







সূরা আররাহমানের (৩৩-৩৫) ৩ আয়াতঃ




﴿٣٣﴾ يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ إِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَنْ تَنْفُذُوا مِنْ أَقْطَارِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ فَانْفُذُوا ۚ لَا تَنْفُذُونَ إِلَّا بِسُلْطَانٍ ﴿٣٤﴾ فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ ﴿٣٥﴾ يُرْسَلُ عَلَيْكُمَا شُوَاظٌ مِنْ نَارٍ وَنُحَاسٌ فَلَا تَنْتَصِرَانِ





সূরা হাশরের শেষ ৪ আয়াতঃ




﴿٢١﴾ لَوْ أَنْزَلْنَا هَٰذَا الْقُرْآنَ عَلَىٰ جَبَلٍ لَرَأَيْتَهُ خَاشِعًا مُتَصَدِّعًا مِنْ خَشْيَةِ اللَّهِ ۚ وَتِلْكَ الْأَمْثَالُ نَضْرِبُهَا لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُونَ ﴿٢٢﴾ هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ ۖ هُوَ الرَّحْمَٰنُ الرَّحِيمُ ﴿٢٣﴾ هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ ۚ سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ ﴿٢٤﴾ هُوَ اللَّهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ ۖ لَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَىٰ ۚ يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۖ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ




সূরা জ্বীনের প্রথম ৪ আয়াতঃ



﴿١﴾ قُلْ أُوحِيَ إِلَيَّ أَنَّهُ اسْتَمَعَ نَفَرٌ مِنَ الْجِنِّ فَقَالُوا إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآنًا عَجَبًا ﴿٢﴾ يَهْدِي إِلَى الرُّشْدِ فَآمَنَّا بِهِ ۖ وَلَنْ نُشْرِكَ بِرَبِّنَا أَحَدًا ﴿٣﴾ وَأَنَّهُ تَعَالَىٰ جَدُّ رَبِّنَا مَا اتَّخَذَ صَاحِبَةً وَلَا وَلَدًا ﴿٤﴾ وَأَنَّهُ كَانَ يَقُولُ سَفِيهُنَا عَلَى اللَّهِ شَطَطًا

About the author

AHSHAN HABIB
Hello! I am Ahshan Habib. Blogging is My Hobby and I Would Like to Share my Knowledge With Everyone. Here I Will Share Every Day About Education, Technology, and Programming. So Stay With us And Share my Page on Your Social Platform.

Post a Comment