যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই
যাহা পাই তাহা চাই না।
মানুষের চাওয়া-পাওয়ার কোনো শেষ নেই। প্রাপ্তিতে
তার কোনো তৃপ্তি হয় না। কাঙ্ক্ষিত বস্তু তার ভাগ্যে জোটে না, অথচ যা পায়, তা সে চায়
না।
পৃথিবীতে চাওয়া-পাওয়া নিয়ে মানুষের রয়েছে
নিরন্ত্রর দ্বন্দ্ব। কাঙ্ক্ষিত বস্তু বা একান্ত মনোবাঞ্ছা তার কোনোদিন পূরণ হয় না।
কঠিন-কঠোর পরিশ্রমের বিনিময়ে যা সে পায়, তা হয়তো তার মোটেই কাঙ্ক্ষিত ছিল না। না পাওয়ার
বেদনা তার আকঙ্ক্ষাকে আরো তীব্র করে তোলে। অর্থ-সম্পদ, বিলাসের মধ্যে কিছুদিন কাটাবার
পর বৈরাগ্যের জন্য কারো মন আকুলি-বিকুলি করে ওঠে। আবার বৈরাগ্যের বিশুষ্ক জীবন কিছুদিন
কাটানোর পর তার মন ছুটে যায় ভোগের আনন্দময় জীবনের দিকে। মানুষের মনের এ অস্থিরতা, এ
চিত্তচাঞ্চল্য তাকে কখনো স্থির হতে দেয় না।
সে যে সত্যিকার অর্থ কী চায়, তা সে নিজেও
জানে না। তাই মানুষ তার কাম্যবস্তু পেয়ে কখনো পরিতৃপ্তিতে অর্জন করে না। এটা মানবমনের
চিরন্তন বৈশিষ্ট্য। চাওয়া-পাওয়ার এ দ্বন্দ্ব তাকে সারাজীবন যন্ত্রণা দেয়, ব্যাথিত করে,
তাকে সুখ দেয় না। মানব হৃদয়ে চাওয়া-পাওয়ার দ্বন্দ্ব চিরন্তন। সাধ এবং সাধ্য, চাওয়া
এবং পাওয়ার যোগফল কখনো মেলে না। প্রাপ্তিতেও তার পরিতৃপ্তিতে নেই। ভুল চাওয়ার পেছনে
সারাজীবন হেঁটে মনে হয়, যা পাওয়ার কথা ছিল তা সে পায়নি, যা পেয়েছে, তা সে চায়নি।